মাভৈ মাভৈ রবে কেউ কি আসে
যে আসে সে কি জানে ঈশ্বরের পা নেই তবু সে হাঁটে আর যে আসে তার ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই কিন্তু সেই
পা-কে অনস্বীকার্য ভাবে
এ কেমন গণিত
হে অই লোক যে আগাম গিয়েছে জেনে -তাবৎ রহস্যের মধ্যেও এক রহস্যহীনতা আছে
তবে এই বেলা সহজ কথার মাঝে যাই
আমি যাই আমার সংগে হেঁটে চলে পূর্বজন্ম আমার
যা প্রমাণসাপেক্ষ এক পুরনো বিতর্কের অবসান
না ঘটিয়ে অহি-নকুল সম্পর্কের মধ্যে বেঁচে থাকে
আরো একবার ভাবনাহীন মানুষের কথা জেনে
ভাবনা তো খুব বেজে ওঠে
পঞ্চগাঁয়ের সেই মাঝি, তারও এক নিজস্ব ঈশ্বর
সাথে নিয়ে এলো – যে ঈশ্বরের চোখ নেই তবু সে দেখতে পারে
তবে ঈশ্বর এবং শরীর ও অশরীরী অনুধ্যান কবিতায়
প্রাচীন হয়ে গেছে
তাই নিমগ্ন থেকে ধ্যান হলো না আজ বরং
পদ্মাপারমিতার মুখ ভেসে ওঠে
ঈশ্বর শরীর অশরীর সব গুলিয়ে গিয়ে
হ- য- ব- র- ল হয়ে আছে
দ্যাখো না হে আদিম যন্ত্রণা
মানুষে মানুষে কতো কলরব
সাদা কালো আর কতো কিছু
যে জন ঈশ্বরে ভর করে আছে মনে হলো
যেহেতু মনে করালো সে
তার কাঁধে শয়তান ভর করে আছে- কাজকামে
এইরূপ প্রদর্শিত হলো
হলো, যেহেতু মাভৈ মাভৈ করে আসে যারা
তাহাদের জানা নেই
ঈশ্বরের কাছে এক অনন্ত অন্তহীনতা আছে
যে মানুষ ঈশ্বরে বিশ্বাসী সে ঈশ্বর নয়, মানুষ নিয়ে বাঁচে

০
০
সেভ বা রিয়েক্ট করার জন্য লগইন করে নিন!
৪৫
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন