রহিমা বেগম গাড়ি নিয়ে রওনা হয়েছেন।গন্তব্য ৭/এ কদম আলী।
দরোজা খুলে বরাবরের মতোই রহিমা বেগমকে কদম আলীর পা ছুঁয়ে সালাম।’ঠিক আছে ঠিক আছে’ না বলে রহিমার সোফায় বসা।
-কদম
জ্বি ম্যাডাম
– টাকা দিয়েছিলে?
জ্বি ম্যাডাম।কিন্তু…
– কিন্তু কী
কিন্তু সে কাজ করতে রাজি নয়
-এমাউন্ট আরো বাড়িয়ে দাও
এমাউন্ট বাড়ানোর কথা বলেছি,তাও রাজি হয় নাই,ম্যাডাম
-কেনো?
তার বিবেক বাধা দেয়
-বিবেকের খেতা পুড়ি
রহিমার মেজাজ সপ্তমে।কদমকে জোরে একটা চড় কষাতে ইচ্ছে করছে।চড় না কষিয়ে রহিমা উত্তেজিতভাবে বললো কদম
জ্বি ম্যাডাম
-ঝুঁকিটা কোথায় বুঝতে পারছো?
ঝুঁকি কেনো,ম্যাডাম?
-তোমার মতো গাধার ঝুঁকি না বুঝারই কথা
জ্বি ম্যাডাম
‘জ্বি ম্যাডাম’ – এর বাইরে কিছু বলার অভ্যাস কদমের নেই।রহিমা যদি কদমকে বিষ খেতে বলে কদম বিনাবাক্যব্যয়ে ‘জ্বি ম্যাডাম’ বলে বিষ খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে মরে যাবে।
রহিমা বেগম বললো- ঝুঁকি হলো তোমার অই লোক… কী যেনো নাম?
কালা তাবিজ
-হ্যাঁ, কালা তাবিজ।সে এই পরিকল্পনার সাক্ষী হয়ে গেছে।তাকে সরিয়ে ফেলতে হবে নইলে যে-কোনো সময় যে- কোনো দিন সংকটের মুহূর্তে সে আমাদের বিপক্ষে সাক্ষী দিয়ে দিতে পারে।রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।বুঝতে পেরেছো?
জ্বি ম্যাডাম,জ্বি।আমি ক্লিয়ার।
-গুড।
রহিমা ম্যাডাম ব্যাগ থেকে টাকার বান্ডিল বের করে টেবিলে রাখলেন।কদম টাকাটা হাতে নিয়ে না বুঝার ভঙিতে বলে- ম্যাডাম
কালা তাবিজের সানডে মানডে ক্লোজ করে দাও এজ আর্লি এজ পসিবল
-জ্বি ম্যাডাম।
রহিমা বললো- এক গ্লাস পানি দাও
কদম জগ থেকে গ্লাসে পানি ঢেলে দিলো।রহিমা ঢক ঢক করে পানি পান করে উঠার সময় বললো- কাজটা দ্রুত করে ফেলবে।নেক্সট টাইম যেনো লোক চিনতে ভুল না হয়- কথাটা মনে রেখো।আমি কখনো দুধকলা দিয়ে সাপ পুষি না।আমি রহিমা বেগম।আমার চেয়ে বড়ো সাপ হবার অধিকার এই রাষ্ট্রে কারোরই নেই।কদম।
-জ্বি ম্যাডাম।
কথাটা মনে রেখো।
কদম ‘জ্বি ম্যাডাম’ বলবার আগেই রহিমা বেগম রকেটগতিতে উধাও হয়ে গেলো।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন