জিলম বাসায় ফিরে মাকে বললো- তোমার কথা রেখেছি।তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরলাম
মা বললেন- গুড।এখন খেয়েদেয়ে রেস্ট নাও। পরে কথা হবে।
পরে কেনো এখনি বলো
-এখন না।তুমি আগে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নাও
জিলম কথা না বাড়িয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।
আসলে জিলমের সাথে আশা বেগমের জরুরি বিশেষ কোনো বিষয়ে কথা নেই।ইদানিং জিলমকে নিয়ে আশা বেগমের কেনো যেনো দুশ্চিন্তা হয়।ছেলেটা পড়ালেখা শেষ করে দলে যোগ দিয়েছে।অভিজ্ঞতা কম।কাঁচা বয়সে ভুলভাল হবে,তা ঠিক কিন্তু ভুলকে সে ভুল বলে বিশ্বাস করবে কিনা,ভুল থেকে শিক্ষা নেবে কিনা – এ নিয়েই আশা বেগমের প্রায়শ ভাবনা হয়।
সবচেয়ে বড়ো ভাবনা হলো ইদানিং অপোজিশন পার্টি দেশকে সারাক্ষণ অস্থিতিশীল করে রাখবার হেন চেষ্টা নাই যা করছে না।এই বিষয়গুলি নিয়েই জিলমের সাথে আজ খুব গভীর করে কথা বলতে হবে।
জিলম ফ্রেশ হয়ে এসে ডাইনিং-এ বসে রাতের খাবার শেষ করলো নিঃশব্দে।আশা বেগম ড্রইংরুমেই বসে ছিলেন।জিলম ড্রইং রুমে এসে বসলো।
– কী যেনো বলবে বলছিলে?
বলবো।এতো তাড়া কিসের!
-না,তাড়ার কিছু নেই।আস্তে ধীরেই বলো।
জিলম
-বলো মা
কিছু টের পাচ্ছিস?
-কিছু মানে কোন বিষয়টা?
বিষয় তো একটাই। দেশ।
-সেটা তো আমার চেয়ে তুমি ভালো জানো।
কেনো, তুই কিছুই জানিস না!
-জানলেও তোমার চেয়ে কম
কম জানলে হবে!তোকেই তো একদিন সব দায়িত্ব বুঝে নিতে হবে।
-নিবো।আমাকেই নিতে হবে আর আমি নেবো ইনশাআল্লাহ। শুধু তুমি দোয়া রেখো
আমার দোয়া তো আছেই।তোকেও সাবধানে এগুতে হবে।
– সাবধানেই তো এগুচ্ছি,মা।এতো ভয় পেলে কি চলবে।তুমি এখন প্রধান।ভয় পাওয়ার তো কিছু দেখছি না
তবু।ঘরে যেমন অপোজিশন আছে ঘরের বাইরেও আছে অপোজিশন।একটু চুপ থেকে আশা বেগম বললেন- টিটুদের সংগে কথা হয়েছে?
জিলম শুধু বললো ‘হয়েছে’; কিন্তু কী কথা হয়েছে সেই প্রসংগে না গিয়েই ‘মা,ঘুম পেয়েছে।ঘুমাবো।তুমিও ঘুমিয়ে পড়ো’ বলেই উঠে গেলো।
আশা বেগম বললেন- ওকে।গুড নাইট।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন