মহামান্য অধীশ্বর জেন্টের উপর দায়িত্ব দিয়েছেন জটিল এক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের।মাথাটা জ্যাম হয়ে আছে জেন্টের। জেরিনের পারফরমেন্স দেখতেও তাই ভালো লাগছিলো না।মেয়েটি দেখতে বেশ ছিলো – তার
উপত্যকাগুলি ক্রমশ পাহাড় হয়ে উঠছিলো। যদিও সে নতুন। কাঁচা।
কিন্তু… কিন্তু মহামান্য অধীশ্বর যে পরিকল্পনা দিয়েছেন তা নিয়ে মাথাও কাজ করছে না।মহামান্যকে জেন্ট কোনোদিন চোখে দেখেনি।মহামান্য’র কথা জেন্টের কাছে পৌঁছে দেয় মিস্টার মাদারবোর্ড। মাদারবোর্ডও মহামান্যকে কখনো দেখেনি।এইসব ভুতুড়ে ব্যাপার স্যাপার জেন্টের ভালো লাগে না।ভড়ং বলে মনে হয়।
জেন্ট সুইচ প্রেস করে।সে যে চেয়ারে বসে আছে চেয়ারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্লোর ভেদ করে নেমে যায় ২২ ফিট নিচে।তারপর সুরঙের মতো প্যাসেজ।চেয়ারটির গন্তব্য গো-গ্রাউন্ড।গো-গ্রাইউন্ড হলো এমন এক আন্ডার গ্রাউন্ড যার উপরে কুমিল্লার ধর্মসাগরের মতো একটি বিশাল দিঘি।সেই দিঘি সংলগ্ন আধা একরের একটি গরুর খামার।বস্তুত খামারের গোয়াল ঘরের ভেতরেই লুকিয়ে আছে গো-গ্রাউন্ডের মূল প্রবেশ ও বহির্গমন ফটক।বাইরে থেকে বুঝার কোনো উপায় নেই যে খামারের ভেতরে গোপনে সাজানো রয়েছে এতোসব লংকাকান্ড। গো-গ্রাউন্ডে কতোগুলি কক্ষ আছে জেন্টের জানা নেই।সম্ভবত এখানে যারা কাজ করে তাদের কাউকেই জানতে দেয়া হয় না এখানে কক্ষ সংখ্যা কতো।প্রত্যেক কক্ষেরই আছে নিজ নিজ entry এবং exit.
জেন্টের কক্ষে আছে ৫ টি বড়ো মনিটর ল্যাপটপ টেলিভিশন পিসি টেবিল চেয়ার খাট বাথরুম কয়েকটি অস্ত্র- লাইসেন্সকৃত ও লাইসেন্স বহির্ভূত।
মহামান্য’র নির্দেশ : একটি সফট মানবিক মুভি ছেড়ে ২১ মিনিট দেখার পর পেপার ওয়েট তীব্রভাবে ছুঁড়ে মনিটরটা ভেঙে ফেলতে হবে।তারপর অন্য মনিটরে ছাড়তে হবে হরর মুভি।২১ মিনিট দেখে পিস্তল দিয়ে ফায়ার করে মনিটর ভেঙে তছনছ করে দিতে হবে।তারপর একটি ৩৬ ইঞ্চি এনে একসঙ্গে পর্ণ দেখে ৩৬ ইঞ্চির উপর চিতার ক্ষিপ্রতায় ঝাপিয়ে পড়ে নিজেকে পুরুষোত্তম ভাবতে হবে।তারপর সেই মহান শয়তানী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করতে হবে।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন