আজব ভাগ্যের সাথে আজব এক সংসার, যেন সোনায় সোহাগা!
চারিদিকে হরেকরকম অভাবের আগ্রাসী দশা, হতভাগা
জীবনটাকে কেবলই ভ্রূকুটি করে…
আমি কি ক্লান্ত হই? কখনো বিধ্বস্ত বিবর্ণ অন্তরে
কোন ব্যথা কি কাঁদে! আমিতো বিশ্বাস করতে চাই-তবু আমি বাঁচি
আমি অভাবটাকে অভ্যেস করে দিব্যি আছি…
এই হৈহুল্লোড় অভাবের সংসারে
আমি যে অভাবেরই শুধু; অভাব দিব্যি ঘিরে থাকে আমারে-
যেন আমরা দুজন এক জোড়-মানিক বেজায়…
আমার ভুত যেন আজ এক জমাটবাঁধা কুয়াসায়
ভাসে, ভবিষ্যৎ- সেতো সাত-আসমান দূরের স্বপন কেবল,
যা ভাবা যায়না, আর বর্তমান- সেতো হৃদয়-ঘেষা সমুদ্রের কটু লোনা জল;
কেবলই বিদ্রুপের হাসি হাসে- আর এইতো আমার
প্রকৃষ্টরূপে তাবৎ অভাব-সমাচার…
তবু আমি বলতে চাই-তবু আমি বাঁচি!
আমি অভাবটাকে অভ্যেস করে দিব্যি আছি…
আমার বাড়ন্ত সংসারে অভাবেরা বড্ড সুখে রয় আমার ঘরে,
তবু কি বিধাতা এক টুকরো ঝন্জা-ক্ষুব্ধ আকাশকে ভ্রূকুটি করে
এই অভাব-রাজার কাছে
দিব্যি বলবে?- গোটা আকাশতো বেশ ভাল আছে!
জানি- বিশ্বাস মরে গেছে জন্মের আগে;
তাই আশ্বাসে আর কিছু যায় আসে না। ভালোবাসা অনুরাগে
ক্ষুন্নিবৃত্তি হয় না কখনো। জীবনের অধিক দেখেছি জীবন,
তাই বহুরুপি মরণের মাঝে দাঁড়িয়ে এখন
অভাবের রাজা হয়ে বলতে চাই – তবু আমি বাঁচি!
আমি অভাবটাকে অভ্যেস করে দিব্যি আছি…

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন