আমার তাবৎ বিশ্বাস, আর কঠিন যুক্তি বলে-
আমরা অবশ্যই উল্কার মতো এক ভুল পথে চলেছি….
পথ একদিন শেষ হয়ে যাবে প্রকৃতির কাছে,
আর আমরা অবরুদ্ধ হবো ভাগ্যের কাছে সবটুকু অসহায়ত্ব নিয়ে,
কেননা, কাছাকাছি চোরাবালু রেখে উপরে সৌধ গড়া যায় না;
মিথ্যায় লালিত স্বপ্নরা একদিন ভেঙ্গে পড়বেই।
জারজ তথ্য ভরে সত্যকে আড়াল করে
ভাসমান জাতিটিকে বোকা বানানো যেতেই পারে;
বিশ্বকে ধোঁকা দেয়া যায় কি?
বিশ্ববিবেক একদিন ঘুরে দাঁড়াবেই, কেননা
সেতো পরিপূর্ণ নীতির বাহনে বাহিত এক সত্তা;
শেষতক নীতির জালে সবকিছু আটকে যায়……
শাস্ত্র শিখিয়েছে – ন্যাচারাল ঘোড়া আর অর্থনীতির ঘোড়া
নাকি একই ঘোড়া, শুধু একটা বৈশিষ্টে তারা জীবন্ত-বিপরীত;
আগেরটা চালাতে হয় রীতিমতো লাগাম পরিয়ে
আর পরেরটা একদম লাগাম ছাড়া……
আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখলাম এক উল্টা চিত্রায়ন-
ন্যাচারাল লাল ঘোড়া দাবড়ানো হলো একেবারে লাগাম ছাড়া
বছরের পর বছর,
আর অর্থনীতির ঘোড়া দাবড়ানো হলো-
রীতিমত শত লাগাম পরিয়ে!
ফলাফল যা হবার তাই হলো-একেবারে শতে শূন্য;
হদ্দ বোকা জাতি পেল আজীবন বোকার খেতাব,
আর প্রিয় মাটি পেল অফুরান অস্থিরতার এক শিরশির অনুভূতি!
কতকাল আর হাবা জাতির গোবা মানুষ এমনইভাবে-
কেবলই চক্ষুমুদে এই পানিপড়া খেয়ে যাবে?
তারা কি আর জাগবে না কোনদিন?
জানি- ‘জনতা জনার্ধন’- ঐ যে কেতাবের টাইটেল-
তারা একদিন জাগবেই জাগবে,
আর তুমুলভাবে জনতার বোমা ফাঁটবে
নইলে যে, রুশো আমাদের কাছে একেবারে মিথ্যে হয়ে যাবে।
-আর এই স-অ-ব কথাগুলো আমার ছোট্ট জনগোষ্ঠীকে
আমি একদিন বলেছিলাম…..
(জুলাই ২০২৩, ঢাকা)
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন