জীবন যেন এখানে এক বিমূর্ত গোলাপ;
গন্ধ-সুধা, রং-মাধুরী তার বন্দি হয়ে আছে কোন পাথুরে আকারে
যাপন যেন ভাদ্রের ভেজা দাঁড়কাকের ফ্রেস্কো এক…
সময় থমকে গেছে শেষ ফুলেওঠা নদীর মতো,
একেবারে নিশ্চল নিস্তব্ধ, কথার ফুলঝুরি কোথায় গেল তার!
সে কি ভুলে গেছে পথ!
আর কি কোনোদিন গতিশীল হবে না?
সেকি থাকবে এই ঊষর প্রান্তরের মরীচিকা হয়ে!
শব্দরা আজ বরফঠান্ডা-জমে গেছে ইতিহাসের মতো
কানের কুহর আজ তাই ভরাট হয়ে গেছে
চোখ আজ তক্ষ্মশীলা;
বিমূর্ত মূর্তিরা ভীড় করে আছে সেখানে…
মগজের আর জেগে থাকার ন্যায্যতা কোথায়!
তাই সে এখন বিবর্তনের এক স্বচ্ছ শিকার;
হয়ে গেল এক মচমচে তিলের খাজা-
সুচতুর কেউ একজন খেয়ে নিল তারে…
নিঃসাড় দেহটা এখন রীতিমত এক পরিপক্ক রোবট;
সাথে তার বিকাশ, পকেটে ডেভিট কার্ড,
শতকদম পরিবৃত্তে পণ্যের মেলা,
হাত বাড়ালেই ক্যাশ-এজেন্ট!
ব্যস, নিরামিষ জীবন এখন কবিতায় মুখর
দিনের চুঁয়েপড়া অংশে
কেননা, দিনের কান্ডটা আটকে আছে এক গুচ্ছ প্রেসনোটে
আর রাতের ডালপালাসমেত এক মায়াবী ছোট পর্দায়
চারিদিকে এক বিকট বেয়াড়াপনায়
এসব হচ্ছেটা কী, কে বলবে আমায়!

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন