মহাজগতের মতো সতত ক্রিয়াশীল মানুষেরা নিত্য-
ক্রিয়ায় একেবারে অভ্যস্ত
পাপ-পূণ্য ন্যায়-অন্যায়
বোধের বাহিরে যেয়ে নিরন্তর ক্রিয়া করে যায়
অন্তরে কাছে, কখনও দূরে, অনেক অনেক দূরে
অথচ কী মোলায়েম কর্কশ সুরে
জীবনের পদাবলী লিখে যায় রাম-ছাগলের দল
একি সবটুকু সত্য! নাকি পুরাটাই ছল?
ঠিকই ছাগলগুলো হাতেপায়ে বেশ বড়োসড়ো
মোটা-সোটা ঘাড় ও ধড়ও
কিন্তু বুদ্ধিতে একেবারেই রুগ্নটে, ছোট
এবং বেশ খাটো
তাইতো মহারাজ দেহ-মন-আমিত্ব ছাড়িয়ে
দিনের আলোর মতো বিবেকের কথা বলেছেন বেশ হাঁকিয়ে হাঁকিয়ে
কিন্তু আমরাতো বুঝেছি একেবারেই হাড়েহাড়ে-
সবটুকু দায়-দোহায় যে ‘তারই’ ঘাড়ে
তাইতো আমাদের বেশ দোহারা আয়োজন; গর্জন ভারী
অথচ অর্জন মেঘের মতন, চিরসঙ্গ শূন্যতারই
হে, পৃথিবীর বৃক্ষ-পক্ষি-ঘাস-লতা-পাতারা
মহাপৃথিবীর শাশ্বত চন্দ্র-সূর্য-তারা
তোমাদের কী আর কহিব!
শুধু মুখস্ত পদাবলী ছাড়া-‘যাহা বলিব, সত্য বলিব’
…….
(‘যাহা বলিব, সত্য বলিব’-এই মুখস্ত পদাবলীর আড়ালে
আসলে কী হয় সেটাই ব্যঙ্গ করে রূপকের মোড়কে এখানে বলার চেষ্টা
করেছি। কষ্ট করে বুঝতে পারলে প্রীত হবো)
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন