নাটরের বনলতা সেন-কে নিয়ে কোন অভিসন্দর্ভ করিনি রচনা
জানি না, কবিকুলের কেউ কোনদিন করেছেন কিনা
কিংবা করিনি তার অন্ধকার রাতের মতন
চুলের গন্ধ বিশ্লেষণ
কোন রসায়নাগারে বসে বসে পৃথিবীর
জানি না কখনো সত্যিই শ্রাবস্তির
কোন কারুকার্য ছিল কিনা তার মুখে কিংবা জানি না
সত্যিই তার পাখির নীড়ের মতন দুটো চোখ ছিল কিনা
তবে প্রতিটি নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে
জেনেছি আমার কাব্যিক বিশ্বাসে
জেনেছি বারংবার বরিশালের
জীবনানন্দ দাশের
ছিল সত্যিই দুটো চোখ, অবাক-বিস্ময়কর
সমুদ্রের মতো অতল, আকাশের মতো অপার
যা ধারণ করে নিরন্তর
সবকিছু, নাকিছুর কিছু, ভেতরের ভেতর
বর্ণালী অনুভূতির কীটসিয়ান লেন্স আমি যাকে বলি
অবাক বিস্ময়ে ভাবি কেবলই-
কী সে লেন্স! যেখানে ধরা পড়ে অণুক্ষণ
পাখির নীড়ের মতন
চোখেদের মায়া
কিংবা শটিবনে গাছেদের অদেখা ছায়া
কিংবা ভোরের কাঁঠাল পাতার পতন-ছন্দধারা
ভোরের ডুমুর পাতারা
ক্রন্দনরত সোনালী ডানার চিল
হাসেদের ডুবসাঁতার, কলমিদামের বিল
কিশোরের উচ্ছ্বাসে বেতস ফল
কিংবা বেহুলার পায়ে ভাঁট ফুল ঘুঙুরের দল
এ চোখ, এ দৃষ্টির গতি
শুধুই বাংলার প্রকৃতি
ভেদ করে করে
যেন আরো গভীরে
জীবাশ্ম মিথের সে পাথর সময়ে একাকার –
করে নির্জনে আনমনে কেবলই জীবানানন্দবিহার।
এখন পর্যন্ত লেখাটি পড়া হয়েছে ৯০ বার
যদি লেখাটি সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন