(এটি একটি যুগলবন্দী জীবনের গল্প। এখানে ৪টি নাম
ব‍্যবহার করা হয়েছ-নাতাশা, হাসু, গল্প আর হাস্নাহেনা।
কবিতাটি মনোযোগ সহকারে পড়লে গল্পটি ফুটে উঠবে,
আর তখনই নামকরণের কুয়াশা কেটে যাবে। এটি কোন
প্রেমের কবিতা নয়। এটি জীবনবোধের কবিতা। কবিতাটি
একটি টিভি নাটকের গল্প নিয়ে লেখা। )

জানি, এ জগৎ সংসারে নাতাশারা সারাজীবন নাতাশাই থেকে যায়…..
                                                                            
রূপশালী সময়ের চত্বরে কেবলই ঘুরে বেড়ায়
মুখভর্তি মেকি রূপ নিয়ে নাতাশারা
এখানে, ওখানে, সেখানে, যেখানে চায় তারা;
অধরা স্বপ্নের খোঁজে তারা কেবলই স্বপ্ন ছড়ায়,
আর অজানার পানে অদৃশ্য দুহাত বাড়ায়…..

নাতাশারা সারাজীবন বাতাসের মতো ভেসে থাকে, কারো হয়না   
তারা অন্তরের কথা কখনো ভুলেও কয়না
কারো সাথে। তাদের অন্তরে শুয়ে থাকে নির্বিকার
হাসুদের মমি, আর এমনই মমির এক গল্প তার-
ফেরিওয়ালার মতো কেবলই ঘুরে ফিরে
পার্কে পার্কে গাছেদের ছায়ে, বিকেলের লেকের তীরে;
সেই কংক্রিটের বেঞ্চটির পরে 
এক নিবীর্য সময়ের হাত ধরে
কখনো বসে থাকে অভিমানী গল্প নীরব-নির্বিকার,

ঠিক যেখানে আটপৌরে জীবনটি তার                                                              
হাস্নাহেনাবিহীন এক অচেনা গল্পে রূপান্তরিত হয়ে যায়                                                                                              
পাঁচ বছর আগে একদিন এক কাল-বেলায়……
         
নাতাশারা বিবেক-বর্জিত এক মায়াবী আলো;                                     
বাহিরে রূপের ছটা, ভেতরে লালসার কালো
কেবলই মিথ্যার আলো ছড়িয়ে
কেবলই কুয়াসা-মায়া বাড়িয়ে
পথ চলে, আর পথ চলে……….
                                        
তারা জানে না, তারা কী বলে
তারা জানে না, কী তারা চায়;
তারা কেবলই জীবন মাড়িয়ে মাড়িয়ে চলে নিয়তির  অপেক্ষায়
এক অনিশ্চিত জীবনের পথে…….

তাদের ভালোবাসার ক্ষমতা কোনমতে
আর অবশিষ্ট নেই । তারা কেবলই অন্যের আলোকে খুন করে                                                                                    
যত অন্ধকার শুষে নেয় নিজের ভেতরে;

তারা এক অন্ধকারজীবী
ঝলমলে আলোতে যেন এক ব্যর্থ দেবী;
নিরন্তর জীবনের অর্থ খোঁজে দিক-দিগন্তে                                                                                               
জীবন তাদের তাড়িয়ে বেড়ায় গলি থেকে গলিতে                                     
আরো দূর অন্ধকারে, আরো গভীরে……
নিয়ে যায় ভয়ংকর কোন খাদের তীরে

তারা কেবলই নাতাশা,সারা জীবন নাতাশাই থেকে যায়
তাদের ভেতরে ‘মমি’ হয়ে শুয়ে থাকা ‘হাসুরা’ কোন এক সুবেলায়                                   
আর ‘হাস্নাহেনা’ হয়ে ফোঁটে না
কখনো ফোঁটে না
………………………..
১৬.০৮.২০১৯, ঢাকা। 
( ‘নাতাশা চরিত’ নামে একটা বাংলাদেশি টিভি নাটক দেখে লেখা।)

৬৫
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন