নাথিং ইজ এভরিথিং
মোঃ আব্দুল মজিদ এনডিসি
কদিন থেকে আগন্তুক কেবলই ডুবছিলেন
ঘামছিলেন ভাবছিলেন-
কেমন যেন হয়ে গেছে আজকাল মহারাজ
স্বপ্নরাজ দর্শনবাজ (হয়তবা ধর্মবাজ);
তাকে আর সোজা-সাপ্টা জবাব দিচ্ছেন না
তার কোন প্রশ্নও আর নিচ্ছেন না
মনে হয়। ক্ষণকাল থমকে থাকার পরে কালবৈশাখি ঝড়ের মতো
ভিন্ন বিষয়ে কুয়াসার মোড়কে জড়ানো কথা যতো
বলে যাচ্ছেন দমকা হাওয়ার মত করে
কখনো বজ্রের মতো তার দিকে সুপারসনিক গতি ভরে
প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন;
তিনি যেন নেশার শরবিদ্ধ মাতালের মতো ভাসছেন
ভাসছেন, আর শূন্যের গভীর থেকে টেনে নিচ্ছেন
মুখ থুবড়েপড়া জীবন, লালিত স্বপন,
ভেতরের আলোর যাপন, দর্শন………
আজ তাই, অবশ্য কিছুটা রহস্য-হাসি, লাস্যময়তা মুখে ভরে
খানিকটা রাগতস্বরে
আগন্তুক প্রশ্ন করলেন-আমার কোনো প্রশ্নই বুঝি গুরুত্বপূর্ণ নয়
আপনার কাছে? তাই যদি হয়
আপনি মানুষকে বুঝবেন, বুঝাবেন, আপনার পথে চালাবেন কীভাবে?
আগন্তুক ভাবলেন- হয়ত তার চেতনার ঈশানকোণ থেকে একটা ঘুর্ণিঝড় উঠে বয়ে যাবে
তার উপর দিয়ে গোটা হলময়
ঠিক তাই হয়;
অনেকটা (হয়তো সকারণ রঙমাখা) রাগতস্বরে বজ্রের বর্ধিষ্ণু শরে
মেঘের ডম্বরু নিনাদ ভরে
মহারাজ তাকালেন, ভাবলেন, প্রশ্ন করলেন- আচ্ছা বলুনতো দেখি,
এই মুহূর্তে আপনার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কী?
আগন্তুক খানিকটা থমকে যাওয়া, দমে যাওয়া,
রেগে যাওয়া, বিব্রত হওয়া
কোন হঠাৎ আগন্তুকের মতো বললেন- আমিতো জানিনা!
অতঃপর মৃদুমন্দ বাতাসের মতো শব্দমাখা হাসি দিয়ে- আমি মানিনা,
হয়তো মানিনা বলে মহারাজ নিস্তব্ধতা ভাঙলেন
আবার বললেন -
এইতো! এইতো! এইমাত্র আপনি প্রমাণ দিলেন
যে, আপনি আছেন।
বলুনতো, এই ‘আপনার থাকার’ বহিঃপ্রকাশ কী কী হতে পারে?
আগন্তুক বললেন-এ-তো আমার সাধ্যের বাইরে,
আপনি বলুন। অতঃপর মহারাজ আবার বললেন-
আপনার দেহ, চেতনা, আর আমিত্ব মিলেই এই ‘আপনি’ হলেন
এর বাইরে আর কিছু নাই। আপনার দেহ আসলে কিছুই না
আর চেতনা!
সেও তো কিছু না, কিছু না অথচ মিছে না
দেহ হলো সমুদয় খাদ্যের নির্যাস, আর চেতনা তার গুণাগুণ, আর কিছু না
খাদ্য বন্ধ করুন, দেখবেন দেহ নাই, নাই চেতনা
সব শেষ হয়ে যাবে। ঐ যে ‘আমিত্ব!’-সব নষ্টের মূল, যত গোলমাল
সে-ই তো আনে যত বেতাল বেহাল
রোগ-শোক-জরা-ব্যধি-অচলতা-ক্রোধ-অভিমান
আর তাই তো, লক্ষ্য ভ্রষ্ট আপনার, ক্ষত-বিক্ষত অভিযান
আপনি অকারণে বারেবারে দিশেহারা হন
তাই আপনি কোন কিছুর ‘কিছুটা’ ; গোটাটা নন
আমি এসব রোগমুক্ত, একেবারে নাথিং, আমি আমিত্বমুক্ত হয়ে আছি
আমি দেহহীন চেতনায় সবকিছুতেই দিব্য বাঁচি
তাই আমি এভরিথিং, আপনি সামথিং
কেননা, নাথিং ইজ এভরিথিং
ঘামছিলেন ভাবছিলেন-
কেমন যেন হয়ে গেছে আজকাল মহারাজ
স্বপ্নরাজ দর্শনবাজ (হয়তবা ধর্মবাজ);
তাকে আর সোজা-সাপ্টা জবাব দিচ্ছেন না
তার কোন প্রশ্নও আর নিচ্ছেন না
মনে হয়। ক্ষণকাল থমকে থাকার পরে কালবৈশাখি ঝড়ের মতো
ভিন্ন বিষয়ে কুয়াসার মোড়কে জড়ানো কথা যতো
বলে যাচ্ছেন দমকা হাওয়ার মত করে
কখনো বজ্রের মতো তার দিকে সুপারসনিক গতি ভরে
প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন;
তিনি যেন নেশার শরবিদ্ধ মাতালের মতো ভাসছেন
ভাসছেন, আর শূন্যের গভীর থেকে টেনে নিচ্ছেন
মুখ থুবড়েপড়া জীবন, লালিত স্বপন,
ভেতরের আলোর যাপন, দর্শন………
আজ তাই, অবশ্য কিছুটা রহস্য-হাসি, লাস্যময়তা মুখে ভরে
খানিকটা রাগতস্বরে
আগন্তুক প্রশ্ন করলেন-আমার কোনো প্রশ্নই বুঝি গুরুত্বপূর্ণ নয়
আপনার কাছে? তাই যদি হয়
আপনি মানুষকে বুঝবেন, বুঝাবেন, আপনার পথে চালাবেন কীভাবে?
আগন্তুক ভাবলেন- হয়ত তার চেতনার ঈশানকোণ থেকে একটা ঘুর্ণিঝড় উঠে বয়ে যাবে
তার উপর দিয়ে গোটা হলময়
ঠিক তাই হয়;
অনেকটা (হয়তো সকারণ রঙমাখা) রাগতস্বরে বজ্রের বর্ধিষ্ণু শরে
মেঘের ডম্বরু নিনাদ ভরে
মহারাজ তাকালেন, ভাবলেন, প্রশ্ন করলেন- আচ্ছা বলুনতো দেখি,
এই মুহূর্তে আপনার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কী?
আগন্তুক খানিকটা থমকে যাওয়া, দমে যাওয়া,
রেগে যাওয়া, বিব্রত হওয়া
কোন হঠাৎ আগন্তুকের মতো বললেন- আমিতো জানিনা!
অতঃপর মৃদুমন্দ বাতাসের মতো শব্দমাখা হাসি দিয়ে- আমি মানিনা,
হয়তো মানিনা বলে মহারাজ নিস্তব্ধতা ভাঙলেন
আবার বললেন -
এইতো! এইতো! এইমাত্র আপনি প্রমাণ দিলেন
যে, আপনি আছেন।
বলুনতো, এই ‘আপনার থাকার’ বহিঃপ্রকাশ কী কী হতে পারে?
আগন্তুক বললেন-এ-তো আমার সাধ্যের বাইরে,
আপনি বলুন। অতঃপর মহারাজ আবার বললেন-
আপনার দেহ, চেতনা, আর আমিত্ব মিলেই এই ‘আপনি’ হলেন
এর বাইরে আর কিছু নাই। আপনার দেহ আসলে কিছুই না
আর চেতনা!
সেও তো কিছু না, কিছু না অথচ মিছে না
দেহ হলো সমুদয় খাদ্যের নির্যাস, আর চেতনা তার গুণাগুণ, আর কিছু না
খাদ্য বন্ধ করুন, দেখবেন দেহ নাই, নাই চেতনা
সব শেষ হয়ে যাবে। ঐ যে ‘আমিত্ব!’-সব নষ্টের মূল, যত গোলমাল
সে-ই তো আনে যত বেতাল বেহাল
রোগ-শোক-জরা-ব্যধি-অচলতা-ক্রোধ-অভিমান
আর তাই তো, লক্ষ্য ভ্রষ্ট আপনার, ক্ষত-বিক্ষত অভিযান
আপনি অকারণে বারেবারে দিশেহারা হন
তাই আপনি কোন কিছুর ‘কিছুটা’ ; গোটাটা নন
আমি এসব রোগমুক্ত, একেবারে নাথিং, আমি আমিত্বমুক্ত হয়ে আছি
আমি দেহহীন চেতনায় সবকিছুতেই দিব্য বাঁচি
তাই আমি এভরিথিং, আপনি সামথিং
কেননা, নাথিং ইজ এভরিথিং
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৯৬ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন