মানব মন্ডল

কবিতা - ক্ষমা করবেন রবি ঠাকুর

লেখক: মানব মন্ডল

আকাশটা আজ বড়ো অন্ধকার

ফাঁক ফোকরে ভরে আছে

কেমন যেনো দীর্ঘ শ্বাস হাহাকার

রাতে শরীরে এখনো আছে কিছু

নক্ষত্র অবশিষ্ট

অনেক গুলো হয়তো হয়ে গেছে নষ্ট

না না নক্ষত্র পাড়া আলাপ আমার পুরোনো

তবে নক্ষত্র কেনো ,

আলো হবার স্বপ্ন দেখিনি কখনো।

দিনের বেলাটা রবির ছিলো দখলে,

অন্ধকার কি ! বুঝিনি কাকে বলে।

একটু বড়ো বেলায় হাত খরচ

পাবো বলে লুকিয়ে রাখতাম দাদুর গীতা

গীতাঞ্জলি ধরিয়ে দিয়ে মামা বলেছিলে পড়তে

গীতা নাকি আমি পারবোনা বুঝতে,

আগে বুঝতে হবে রবীন্দ্রনাথ এর কবিতা।

হে বুর্জোয়া কবি

তোমাকেকে হয়তো প্রতিমুহূর্তে করতে চেয়েছি অস্বীকার

কিন্তু তোমাকে প্রতি মুহুর্তে করেছি আবিষ্কার।

তোমাকে নিয়ে লেখা আমার

কবিতা গুলো ছিঁড়ে ফেলেছি বার বার

টুকরো টুকরো, অক্ষর গুলো, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে

করেছি চিৎকার।

অর্থ থাকলেও আমার লেখা রক্ত মাংসতো ছিলো না।

তাই বোঝাতে পারেনি আমার যন্ত্রনা।

তবে নোবেল চোরে বাংলায় এখনো তোমাকে দরকার।

একটা বোতাম টিপে যেমন রক্ষা হয় না গনতন্ত্র

তেমন ই একটা কবিতা লিখে তোমার পূজা হয়না রবীন্দ্র।

ক্ষমা করো হে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমি আসলে মধ্যেবিত্ত,এক রঙচটা জামার বোতাম

লজ্জা আটাকানোর সব দায়িত্ব যেনো আমার।

কবি গুরু তোমায় তবু প্যেনাম, তোমার পূজা দিয়ে

আমি কিছু টা কামাতে চাই সুনাম, ,,,,

৩৩
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন