থানায় বসে আছি। কোনো অপরাধ করি নি। মিষ্টি দিতে এসেছি। পাসপোর্ট তৈরি সময় ভেরিফিকেশন করতে পুলিশ বাড়িতে গেলে, কিছু টাকা ধরিয়ে পুলিশের পকেটে দেবার একটা নিয়ম আছে। কিন্তু আমার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন যখন গিয়ে ছিলো তখন হাতে খালি ছিলো আমার। আমি অফিসারকে বিদায় দেবার সময় মায়ের ঘরে গিয়ে ছিলাম। অফিসার আমার সব কিছু জানতো। তারপর কাচুমাচু মুখ করে পাঁচ শ টাকা দিতে গিয়েছিলাম। অফিসার নেয় নি। বলছিলো “চাকরি পেলে মিষ্টি খাওয়া বি এখন ছাড়,,,”
তাই বাড়ি ফিরে মন্দির পুজা দিয়ে সোজা মিষ্টি নিয়ে থানায়। কিন্তু থানার পাশের গলিতে ভীড় করে অনেক মানুষ। অফিসার আমাকে দেখেছে। ইশারা করে থানার ভিতরে যেতে বলেছে। আমি তাই চলে এলাম। কিন্তু সময় অনেক টা যেতেই অধৈর্য হয়ে। ভিড়ে কাছে গিয়ে হাজির হলাম। ভিড়টা ঘিরে রয়েছে আমাদের চেনা মনাকে ঘিরে। বাজার ঝাড়া দিয়ে, নোরাং ডাস্টবিন থেকে প্লাস্টিক কুড়িয়ে, বিক্রি করে, যা পয়সা পায় তাই দিয়ে দিয়ে দিন কাটায়। রাতে ব্রীজের তলায় শোয়।
ও আধ পাগলী , ও একটা নালিশ নিয়ে এসেছে থানায়। থানা থেকে ওর নালিশ নেওয়া হয় নি । তাই বাইরে গিয়ে জটলা করছে। ও অভিযোগ করছে কাল পার্থ দার ছেলেরা , মানে সেন্টু, প্রদীপ, বাবাই, ওকে তুলে নিয়ে গেছিলো ইটখোলার একটা নির্মাণাধীন ফ্ল্যাটে । তারপর ওকে ওরা শারীরিক নির্যাতন করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে। পার্থ দা নিজে এলো। এলাকার ভিড় ফাঁকা হয়ে গেলো। ভীষণ কুষিত ভাবে গালাগালি দিয়ে পার্থ দা মনার চুলে মুঠি ধরে বললো
” পাগলমী হচ্ছে এখানে, কিশমিশ মতো তোর চেহারা। তোর শরীরের কি আছে যে আমার ছেলেরা তোকে নিয়ে ফুর্তি করবে। এখান থেকে পালা নয়তো কাল টালির নালায় তোর লাস ভাসিয়ে দেবো, কেউ টের পাবে না ”
আমি চুপচাপ বেড়িয়ে এলাম। সাকালে মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে একে ঝামেলা হয়েছে। তাই প্রতি বাদ ততিবাদ বাদ দিলাম। পাড়াতুতো মন্দিরে পূজা দিতে গিয়েছিলাম সকালে। তাড়াহুড়ো করে বান্ধবী hot pant হাজির পূজা দিতে। কিন্তু প্রবেশ করতে দিতে বাধা দ্বাররক্ষী । ও প্রতিবাদ করায় পরে , আমার চেনা বৃদ্ধ পুরোহিত ওকে সম্মানে দিয়ে নিয়ে গিয়ে পূজা করেতে দেয়।
পাড়ার মন্দির টি ছিলো কালি মন্দির। মা কালি নিজেই নগ্ন , হিন্দু ধর্ম নারী সম্মান করে , তার রূপ যৌবন প্রর্দশিত হলে আপত্তি তোলে না। সে এমন একটি সংস্কৃতি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে নগ্ন মহিলা ও মা রূপে পূজিত হন। হিন্দু ধর্ম কোন আসমানী কিতাব নির্দেশে চলে না। এটা পরবর্তী হয়ছে সময় সাথে সাথে। কারণ আমাদের কাছে ধর্ম একটি সমাজ বিজ্ঞান। যেখানে ত্যাগ ও সহিষ্ণুতা শেখায়। নারী কামনা বস্তু নয়, সে পূজিত। শোনা যায় একটি ধর্মী সম্প্রদায়ের এখন আধুনিক হতে পারিনি।মুস্কিল হলো এই সম্প্রদায় যখন আমাদের সমাজে র অংশীদার হলো তখন থেকেই হিন্দু নারী গৃহকর্মী পরিনত হতে শুরু করলো, সতী, সাবিত্রী হতে ঘোমটা তুললো, আগুনে পুড়লো।
বিশ্বাস করতে অসুবিধা হচ্ছে। ধরুন কৃষ্ণ বালক বয়সে পুকুর ঘাটে সখীদের বস্ত্র চুরি করলো। যদি নগ্ন হয়ে স্নান করা নিষিদ্ধ হয়ে থাকে তাহলে তাঁরা নগ্ন হয়ে স্নান কিভাবে করছিলো। নারী দের নিজের স্বামীর নির্বাচনের অধীকারী ছিলেন,সুর্পনাকা তো প্রোপোজ করেছিলো রামকে, মানে লজ্জা সরম ধারধরতো না ও সময়। তাহলে কি আমরা একটি সম্প্রদায় এর বিরোধিতা করতে গিয়ে আমাদের মেয়েদের কে বোরখা পড়া হিজাব নীচে বন্দী করতে চাই ছি??
ধর্ম কথা বাদই দিলাম। আপনি আধুনিক প্রগতিশীল, লরেন চেম্বারলিন নাম শুনেছেন নিশ্চিত, বিশ্বের সেরা সফটবল প্লেয়ারদের মধ্যে একজন এবং মডেলদের জন্য এক অনুপ্রেরণার নাম। কিছুদিন আগে #ESPN এর একটি ম্যাগাজিনের জন্য তিনি একটি ইন্টারভিউ দেন এবং স্বেচ্ছায় ন্যুড পোজ দিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান কাভার মডেল হিসেবে। ইন্টারভিউ তে তিনি বলেছিলেন,
“প্রথমত আমি মনেকরিনা আমি কোনো পর্নোগ্রাফির কাজ করছি, তেমনটি যারা মনে করছেন তারা দয়াকরে আমার থেকে দূরে থাকবেন।
দ্বিতীয়ত, আমি কেনো এই কাজ টিতে রাজি হলাম? আমি বলবো হ্যা, আমি করেছি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা নারীদের জন্য যারা ম্যাগাজিনের এই ইস্যুটি দেখবে এবং যারা নিজেদের মোটা, কুতসিৎ ভাবে। গতানুগতিক হালকা পাতলা গড়নের এথলেট নন এবং যারা ভিতর বাহির থেকে বডি শেমিং এর শিকার। ধরুন, আমি জীবনের প্রতিটি সময় আমার শরীর ও মনের বিরুদ্ধে চললাম। সমাজের বেধে দেওয়া একটা মানদণ্ড অর্জনের জন্য আমি আমার খুব প্রিয় এবং দরকারি খাবার বাদ দিলাম, পছন্দের পোশাক বাদ দিলাম। আরো অনেক সেক্রিফাইস করে চললাম একটা নির্দিষ্ট শেইপ এন্ড সাইজে আসার জন্য। কিন্তু দিনের শেষে সত্যি টা হলো, এটা একপ্রকার ভন্ডামি, নিজের সাথে ভন্ডামি। কারণ আপনার ওই সফহিস্টিকেটেড লুক খুব সামান্য সময়ের জন্য, এর জন্য আপনার ইচ্ছেগুলোকে গলাটিপে মেরে ফেলার কোনো মানেই হয়না। আমি এখনো সামাজিকভাবে বডি শেইমিং এর শিকার, কারণ আমি মডেল কিন্তু মডেলদের মত শেইপ নেই, বরং আছে এক বিশাল নাদুসনুদুস শরীর। কিন্তু আপনি কি জানেন? আমি কত জোরে বল পেটাতে পারি? জানেন কি? আমি কত জোরে দৌড়াতে পারি? আরো অনেক কিছুই পারি, যা ওই জিরো ফিগারের মডেল হলে পারতাম না।”
নগ্নতা নয় বিষয়টি হলো একটি মেয়ে hot ভাবা , ভোগ্যপন্য হিসেবে ভাবার বিরোধী আমি। মেয়েদের সচেতন হতে হবে কেন beautiful হতে হবে তোমাদের পুরুষের জন্য???
#WNBR(World naked bike ride) ২০০৪ থেকে প্রতিবছর বিশ্বের প্রায় ৭০ টি শহরে এই আয়োজন হয়ে থাকে। এই রাইডে সাধারণত নগ্নতাবাদিরা অংশগ্রহণ করে থাকেন, তাদের শরীর জুড়ে নানান রকমের স্লোগান থাকে, কিন্তু মূল কথা হলো, অয়েল ডিপেনডেন্সি কমানো। এই কথা বলতে তারা জামাকাপড় খুলে বাইসাইকেল নিয়ে রাস্তায় নামছে কেনো? মানুষকে সচেতন করতে এই অশ্লীলতাই(সো কল্ড) বা কেনো??
যদি সত্যি কথা বলি, তবে ফাস্ট ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির পরিবেশ দূষণের মাত্রা বা ভয়াবহতা পারমাণবিক বোমার থেকে কিছু কম নয় কিন্তু আপনি বুঝতে পারেন না কারণ এর ফলাফল পরোক্ষ। আপনাদের জ্ঞাতার্থে কিছু পরিসংখান তুলে ধরছি।
২০১৫ সালে টোটাল টেক্সটাইল কন্সাম্পশন ছিলো ৯৫.৬ মিলিয়ন টন, যার ৬২.১% ই ছিলো সিন্থেটিক ফাইবার থেকে তৈরি। এই সিন্থেটিক ফাইবার আর কিছুই না, পেট্রোলিয়াম অয়েল থেকে ডিরাইভ করা।
আপনি বাসাবাড়িতে যে জল ব্যবহার করছেন তার ৪০% ই খরচ করছেন এই জামাকাপড় গুলো ধুতে। সেখানে ডিটারজেন্ট নামক আরেক বিষ জড়িত।
ফিবছর প্রায় ৯২ মিলিয়ন টন জামাকাপড়ের সলিড ওয়েস্ট ডাম্প করা হয় যার ৭২% সিন্থেটিক এবং এর মাত্র ১৫% রিসাইকেল করা যায়। এই সিন্থেটিক ফাইবার মাটিতে ডিকম্পোজ হতে সময় লাগে প্রায় ২০০ বছর, আর যদি পানিতে যায় তবে তৈরি হয় মাইক্রোপ্লাস্টিক যা সমুদ্রে প্রাণীদের ধীরে ধীরে মেরে ফেলছে, ঢুকছে আপনার আমার শরীরেও।
১ টন কাপড় ডাইং আর ফিনিশিং করতে প্রায় ২০০ টন জল খরচ হয়। সিন্থেটিকের পরিবর্তে যদি আপনি কটন ব্যবহার করেন সেখানেও ১ কেজি সুতি কাপড় তৈরিতে প্রায় ২০ হাজার লিটার জল লাগে।
তারমানে আপনি যে টি-শার্ট টি পরে আছেন সেটা তৈরিতে তৈরিতে ২৭০০ লিটার জল খরচ হয়, ৫ কেজি কার্বন-ডাইঅক্সাইড নির্গত হয়। বিষাক্ত রাসায়নিক আর অন্যান্য পরিবেশদূষণতো আছেই।
প্রতিদিন নতুন নতুন পোশাক পরা পরিবেশের জন্য মহাবিপর্যয়ের সংকেত। তাছাড়া এগুলোর পেছনে কৃষিজমি (যেমন: তুলা) ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যয় হয় বিপুল পরিমানে যা হয়তো অন্য কোন টেকসই উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় করা যেত।
আপনি প্রতিদিন জিমে ঘাম ঝরাচ্ছেন কিন্তু অফিসে আসা যাওয়া টা সাইকেলে করলে কি খুব সমস্যা হবে??প্রতিদিন নতুন নতুন পোশাক না পরে অন্যভাবেও কি নিজেদের বিত্তবৈভবের জানান দেওয়া সম্ভব না??
নগ্নতা নিয়ে কত কথা বলতে হলো। একটা কথা বলবো আপনি যখন half pant পরতে পারেন একটি মেয়ে ও hot pant পরতে পরে আপত্তি করেন না। নিজের মনটা পরিষ্কার করুন।
আজ মেয়েরা পুরুষদের চাকরি বাজার কিছুটা দখল করেছে। অর্থনীতি ভাবে স্বাধীন হচ্ছে। যেটা সবাই ভালো চোখে দেখে না। আসলে উচ্চশিক্ষায় মুসলিম মেয়েদের হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়া গত দশকের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন। তাই কিছু দিন আগে হিজাব পরে কলেজ যাওয়া বাধ্যতা করতে চাইছে ।
কিন্তু হিজাবও চিত্তাকর্ষক পোশাক। হিজাব শরীরের সেই সব দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করায় যে সব অঙ্গ মনের ভাব জানান দেয়। যেমন চোখ, ভ্রু, নাক, মুখ, কপাল, গাল, থুতনি। খোলামেলা বা স্কিনটাইট পোশাকগুলিও চিত্তাকর্ষক পোশাক। সেগুলি শরীরের সেই সব দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করায় যেগুলি মনের ভাবের জানান দেয় না। যেমন পেছন, বুক, চুল, দাবনা, ভুঁড়ি, পেট, পিঠ, মালাইচাকি, বগোল, পায়ের ডিম। চোখের দোষ নিশ্চয়ই আছে, তবে চোখের গুণ যদি না-ই থাকে তাহলে কি আর দোষকে দোষ বলা যায়?
এই চোখের বা মনের দোষের সর্বজনীনতা নিয়ে একটি সাম্প্রতিক অতি জনপ্রিয় তেলেগু গান শুনছিলাম। বাংলা অনুবাদ সংগৃহিত, অতএব ঠিকঠাক কি না তা আমি বলতে পারব না, গুণমানের দায়ও আমার নয়। মিউজিকটা চালিয়ে ছন্দ মেনে গাইলে গাওয়া যায় সেটার গ্যারান্টি দিচ্ছি। কী গান সেটা বলব না। ওটা ক্যুইজ।
“শাড়ি পরে থাকলে
চোখ দিয়ে গিলবি
ফ্রক পরে থাকলেও
চোখ দিয়ে গিলবি
শাড়ি পরে থাকলে
চোখ দিয়ে গিলবি
ফ্রক পরে থাকলেও
চোখ দিয়ে গিলবি
শাড়ি-ও না/ ফ্রক-ও না
কী পরছি তা/ ব্যাপার না
তোদের যে /চোখটাই ট্যারা
ছেলেদের মন /টাই ক্যারা
কী রে ছেলে হ্যাঁ কি না
বল সোনা হ্যাঁ কি না
কীরে ছেলে হ্যাঁ কি না
বল সোনা হ্যাঁ কি না
গায়ের রঙ /ফর্সা পেলে
নাচবি দু-পা/ উপরে তুলে
রঙ যদি কারো/ হয় কালো
টোন টিটকিরি/ ভালোই মেলে
ফর্সা হই কি /কালোই হই
তোদের আবার/ রঙে কী
বাগে পেলেই /করবি তোরা
ছেলেদের মন /টাই ক্যারা
কী রে ছেলে /হ্যাঁ কি না
বল সোনা /হ্যাঁ কি না
কীরে ছেলে/ হ্যাঁ কি না
বল সোনা/ হ্যাঁ কি না
আমরা যদি/ লম্বা হই
ঘুরঘুর করবি/ কোমরের কাছে
বেঁটে হলে /আরো ভালো
আহ্লাদ কত /জানা আছে
লম্বা হই কি /বেঁটেই হই
আসলে তো/ অন্য ব্যাপার
যা জোটে তা-ই/ মিষ্টি প্যাঁড়া
ছেলেদের মন /টাই ক্যারা
কী রে ছেলে হ্যাঁ কি না
বল তোরা হ্যাঁ কি না
কীরে ছেলে হ্যাঁ কি না
বল তোরা হ্যাঁ কি না
যদি গায়ে /গতরে হই
তোরা বলিস /কী কিউট
সাইজ জিরো/ দেখলে পরে
তোদের মাথার/ ঘিলু আউট
মোটা রোগা /যে যা হোক তা-ই
শরীর গড়ন /যাই হোক না-ই
একলা দেখায়/ দিলেই সাড়া
ছেলেদের মন /টাই ক্যারা
কেউ কেউ দেখায়/ বিশাল মহান
ভালো মানুষ/ নীতিবান
ভালো মন্দ /এক হয়ে যায়
অন্ধকারে /সব সমান
আলো নিভে /গেলেই ন্যাড়া
ছেলেদের মন /টাই ক্যারা
কী রে ছেলে হ্যাঁ কি না
বল তোরা হ্যাঁ কি না
কীরে ছেলে হ্যাঁ কি না
বল তোরা হ্যাঁ কি না।।।”
যাইহোক বিকালে বান্ধবী সাথে ফিরছি। হঠাৎ দেখি মনা নর্দমায় নেমে একটা কিছু দিয়ে স্নান করছে। অন্নেষা ব্যাপার টা দেখে নিজেকে সামলে না রাখতে পরে। ওর কাছে গেলো। বললো ” এটা কি করছিস তুই মনা। ”
ও বললো “উকিল দিদি, বড়ো ঘৃণা করছে গো। ওরা সারা রাত আমাকে ছুঁয়েছে, চেটেছে, কামড়েছে, সারা শরীরে ওদের লালা,ওদের নোংরা ছোঁয়া লাগে আগে আছে। আমি ওটাই ধুতে চাচ্ছি গো। আমি তো রাতের বেলায় পুরাতন শিব মন্দির টাতে শুয়ে থাকি .. ওখানে শুলে মন্দির অপবিত্র হয়ে যাবে না বললো, উকিল দিদি। ”
,,,, ,,,, , ,,, , ,,,
,,,
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন