বিয়ে পরে পরিস্থিতি পাল্টেছে। বিয়ে পরে দেখলাম ডালিম কিনতে গেলে আমাদের কাছে করে রক্ত জল হয় ঘাম হয়ে বয়ে যাবে। লটারি কেনার জন্য পয়সা ছিলোনা।
তাই সদ্য জ্যোতিষী হওয়া এক বন্ধুকে আমার জন্ম তারিখ আর সময় লিখে পাঠালাম। কারন ও বিজাপন দিতো পাঁচ মিনিটে ভাগ্য বদলে দেবে।
বন্ধু বললেও সে বন্ধু নয় ।পাঁচ মিনিটে আমার ভাগ্য বদলে দিয়েছিলো।আমার গিন্নীকে ফোন চুপিচুপি বললো, আমার কুষ্টি বিচার করে নাকি সুস্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে আমার দুইটি বিয়ে এবং তিনটি পরকীয়া৷ তার সাথে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যোগাযোগ করতে, তাবিজ মাদুলি দিয়ে দেবেন৷
সাথে সাথে বৌ ওর সাথে যোগাযোগ করছিলো কিনা জানিনা।ও তাবিজ গুলোর অনেক দাম ছিলো। তারচেয়ে কম দামী ছিলাম আমি ।
কিন্তু এই নিয়ে বাড়িতে হুলুস্থুল ধুন্ধুমার কাণ্ড শুরু হয়েছিল।সেদ্ধ ভাত নিজেকে বানিয়ে খেতে হলো কিছু দিন।আর আলাদা বিছানায় দূরে থাক সিঁড়ি তলা শুতে হলো৷ শ্বশুরবাড়ির হুমদো আত্মীয়রা ক্যালাবার থ্রেট দিচ্ছিলো বারবার। বৌ তো ক্যালিয়ে দিয়েছিলো৷ উকিল টুকিলের সাথেও কথাবার্তা শুরু করে দিলো কিছু উৎসাহিত বন্ধু বান্ধব।। লাইফটা হেল হয়ে গেছিলো কিছু দিন ঐ জ্যোতিষী বন্ধুর পাল্লায় পরে।
পরে আমি ওকে যব্দ করেছিলাম জ্যোতিষী বন্ধুর নাম প্রচার করলাম ওকে যে বিয়ে করবে সে রাজরানী হবে।
পরে সেই জ্যোতিষী কথায় আমার বৌও যদিও ঘর ছাড়লো। একটা সুখবর আমার বৌ এখন জ্যোতিষী বন্ধুর বৌ। লোকের হাত দেখা ছেড়ে দিয়েছে সে এখন একেবারে। বাসন মাজা কাপড় কাচা সব করতে হয় ওকে। মাঝে মাঝে অন্যদের নিজের হাত দেখিয়ে বলে “আমার হাত রেখা গুলো তো সব উঠে যাচ্ছে।বাসন মেজে মেজে নিজের ভাগ্য বিচার করবো কি করে।””
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন