তোমার একটুখানি উপস্থিতিতেই,
জোনাকির ক্ষীণ আলো থেকে আমি রূপ নিয়েছিলাম পূর্ণ জোছনায়।

তোমার প্রেম পাবার আশায়
পৃথিবীর হাজার রঙ,
হাজার ভালোবাসা থেকেও মুখ ফিরিয়েছিলাম।
কারণ, তোমায় দেখার পর
চাঁদটাও মলিন লাগত,
ফুলের ঘ্রাণেও ছিল না কোনো মায়া।

আমি ভেবেছিলাম, তোমায় ভালোবেসেই জীবনটা পূর্ণ হবে,
কিন্তু হয়নি—
তুমি ছিলে আমার গল্পের সেই অপূর্ণ অধ্যায়।

আহ, তোমার চোখ!
ওই চোখেই লুকানো ছিল আমার সমস্ত পৃথিবী।
জগতের ভাষায় তুমি প্রেমিকা,
আর আমার কাছে তুমি—
এক নীরব অলৌকিকতা।

তুমি বলেছিলে, “পালটে দেব তোমায়।”
হয়তো পালটে দিয়েছও—
আজ আমি ধোঁয়ার ভেতর লিখি কবিতা,
আর প্রতিটি লাইনে তোমার নাম ধ্বনিত হয়।

ভালোবাসতে গিয়েই হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে,
তবু তোমার এক ফোঁটা স্পর্শ,
তোমার কপালে রাখা সেই চুমু,
আজও আমার ঠোঁটে শুকিয়ে থাকা স্মৃতির মতো রয়ে গেছে।

তুমি নেই,
তবু রাতের নিস্তব্ধতা আজও তোমার নাম ফিসফিস করে—
আরাধ্যা,
যার ভালোবাসায় আমি হয়ে উঠেছিলাম মানুষ থেকে অনুভূতি।

মানুষ নাকি সব হতে পারে —
কিন্তু আমি কিছুই হতে চাইনি—
না চাঁদ, না সূর্য, না কোনো কিংবদন্তি।
আমি শুধু হতে চেয়েছিলাম তোমার ভেতরের শান্তি,
তোমার নিঃশ্বাসের ছায়া।
এক জীবনে, এক ভালোবাসায়,
শুধু তোমায় বাঁচিয়ে রাখতে।

পরে পড়বো
১৮
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন