চারিত্রিক সনদ

মিলন সব্যসাচী মিলন সব্যসাচী

প্রেমালোক, জ্ঞানালোক, সূর্যালোক, জোস্নালোক, অনন্তালোক
আলোক আহরণে বিশ্ববিদ্যাপীঠে প্রতিযোগিতায় মগ্ন মানুষ
এভাবেই কেউ কেউ সর্বজন স্বীকৃত আলোকিত হয়ে ওঠেন
মানব সৃষ্ট এ পাঠশালার চেয়ে প্রকৃতির পাঠশালাই সর্বোত্তম।

প্রকৃতির পাঠশালায় কখনো নির্মমভাবে মানুষ খুন হয় না
পশু পাখিদের আন্তরিক পাঠে বিন্দুমাত্র কৃত্রিম কিছু নেই
একমাত্র মানুষই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আলোকিত হয়েওঠে
পৃথিবীর পান্থপথে তবুও কেনো এতো আধারের মহোৎসব।

আলোর অজান্তে মানুষ আঁধারকে কেনো বুকে আঁকড়ে ধরে
আসলে আলোর ফেরিওয়ালা কারা জানতে খুব ইচ্ছে করে
প্রত্যেক মানুষের ভেতরেই এক ভয়ঙ্কর হিংস্র বাঘের বসতি
ভেতরের পশুকে কেউ নিয়ন্ত্রণে রাখেন কেউ কেউ ব্যর্থ হন।

সাধক লালনের মানব মৈত্রী উৎসবে সাধুদের গমনাগমন দেখি
শত সাধনায় কারো কারো বুকের বাগানে ফুটাতে চায় সুগন্ধি ফুল
কারো কারো চাওয়া পাওয়া ফুলেফলে বিকশিত হয় বিশ্বময়
কোন কোন বুকের সঞ্চয় শুধু চরিত্র পচা দুর্গন্ধ আর অহংকার।

আমি প্রকৃতির পাঠশালার কোনো কথা এ কবিতায় বলছি না
আমাদের এ খনিকে রঙ্গমঞ্চে দিবা নিশি চলে কত অভিনয়
চরিত্রহীনরাই বড় বেশি সৎ চরিত্রগত বৈশিষ্ট্যের দাবিদার
এই সুশীল সমাজে চরিত্রহীন মানুষরাও দেয় চারিত্রিক সনদ।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৪২ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন