আমাকে আরেকবার ভালোবাসা উচিত বলে যারা প্রিয়তমা সেজে সামনে আসে
এম মনজুরুল ইসলাম
আমাকে ভালোবাসার জন্য আর কাউকেই
টিএসসি ফেরত উদ্বিগ্ন প্রেমিকা হতে
হবে না, ভালোবাসি বলার জন্য
উডবার্ন লাইব্রেরির সামনে
দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে
হবে না একুশ
শতকের
সমান্তরাল এক ফেব্রুয়ারির বিধ্বস্ত অপরাহ্ণে,
সহস্র যুগের জন্মগত দূরত্ব কমিয়ে
কাছাকাছি আসার দুঃসাহসও
দেখাতে হবে
না....
বত্রিশটা ব্রত উদযাপন করতে গিয়ে হতে হবে
না নিঃসঙ্গ ব্রহ্মচারিণী, কিংবা প্রজাতন্ত্রী
জীবনের মাঝে খুঁজতে হবে না
অ্যাকাডেমিক ভালোবাসার
রঙচটা ইনভেলাপ.....
শুধু একবার প্রথাসিদ্ধ নিয়ম ভেঙে ছুঁয়ে যেতে
চাই তোমার হৃদয়ের রক্তিম কলাকেন্দ্র।
যেখানে একসাথে জোছনা ও
নক্ষত্রের পদধ্বনি শোনা
যায়, দেখা যায়
পৃথিবীর দুই
মেরুজুড়ে ভালোবাসার
রঙিন বিষুবরেখা....
কতবার যে বিষণ্ন বুকের পাশে দাঁড়িয়ে তোমাকে দেখতে চেয়েছি, মৃদু কড়ানাড়ার
শব্দে অপেক্ষা করেছি,
কতবার যে ভেবেছি
কোনো এক
অমাবস্যার রাতে তোমার ওড়নার ভাঁজে
মুখ লুকিয়ে দেখব এই
শহরটাকে....
কিন্তু ভালোবাসতে গিয়ে আমি বারবার ধূসর হয়ে উঠেছি, আঙুলের ভাঁজে দেখেছি স্মৃতি ও
বৃষ্টির মর্মান্তিক পতন উল্লাস,
চিরমগ্ন হয়ে নিজেকে
খুঁজেছি মেডলিন
লিপস্টিকে পেইন্টিং করা
তোমার ঠোঁটের
রবীন্দ্রসদনে....
আমাকে ভালোবাসার জন্য নগ্ন পায়ে হাঁটতে
হবে না রাষ্ট্রিক পথধরে, বলতে হবে না
শত্রুভুক রাত্রির সমসাময়িক
বিষাদকাহন....
যারা আমাকে ব্যাকরণসিদ্ধ প্রেমিক ভেবে
প্রতিপুরুষের স্বাদ খোঁজে, অন্ধকারে
স্পর্শ করতে চায়
আমার অগ্নিময়
কন্ঠনালী,
আমাকে আরেকবার ভালোবাসা
উচিত বলে যারা প্রিয়তমা
সেজে সামনে আসে-
আমি ওদের
ভালোবাসা থেকে ছুটি পেতে
চাই। স্থির হয়ে দেখতে
চাই মৃত্যু ও অসংখ্য
মৃতদেহ....
আমার উদ্ভ্রান্ত সত্তা এখন অপুরুষ থেকে সুপুরুষ
হতে চায়, ফুসফুসের জ্বলন্ত বায়ুতে পোড়াতে
চায় পিতামহের রেখে যাওয়া সেকেলে
সেইসব প্রেম ও ক্রোধ। একটি
মুহূর্ত আমাকে দিতে চায়
শব্দগত নাগরিক
ভালোবাসা ও
দীর্ঘশ্বাস....
কিন্তু আমি কেবল তোমার জন্য শোকাহত হতে ভালোবাসি, তোমার বিষাদগুলো
ওষ্ঠপুটে ধারণ করতে
ভালোবাসি,
একালের যুবতীদের ভালোবাসা থেকে
নিজেকে সরিয়ে সুসংবদ্ধ হতে
ভালোবাসি, এমনকি আমি
তোমাকে বারবার
ভালোবাসতেও
ভালোবাসি....
০৮/০২/২০২১ খ্রি.
টিএসসি ফেরত উদ্বিগ্ন প্রেমিকা হতে
হবে না, ভালোবাসি বলার জন্য
উডবার্ন লাইব্রেরির সামনে
দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে
হবে না একুশ
শতকের
সমান্তরাল এক ফেব্রুয়ারির বিধ্বস্ত অপরাহ্ণে,
সহস্র যুগের জন্মগত দূরত্ব কমিয়ে
কাছাকাছি আসার দুঃসাহসও
দেখাতে হবে
না....
বত্রিশটা ব্রত উদযাপন করতে গিয়ে হতে হবে
না নিঃসঙ্গ ব্রহ্মচারিণী, কিংবা প্রজাতন্ত্রী
জীবনের মাঝে খুঁজতে হবে না
অ্যাকাডেমিক ভালোবাসার
রঙচটা ইনভেলাপ.....
শুধু একবার প্রথাসিদ্ধ নিয়ম ভেঙে ছুঁয়ে যেতে
চাই তোমার হৃদয়ের রক্তিম কলাকেন্দ্র।
যেখানে একসাথে জোছনা ও
নক্ষত্রের পদধ্বনি শোনা
যায়, দেখা যায়
পৃথিবীর দুই
মেরুজুড়ে ভালোবাসার
রঙিন বিষুবরেখা....
কতবার যে বিষণ্ন বুকের পাশে দাঁড়িয়ে তোমাকে দেখতে চেয়েছি, মৃদু কড়ানাড়ার
শব্দে অপেক্ষা করেছি,
কতবার যে ভেবেছি
কোনো এক
অমাবস্যার রাতে তোমার ওড়নার ভাঁজে
মুখ লুকিয়ে দেখব এই
শহরটাকে....
কিন্তু ভালোবাসতে গিয়ে আমি বারবার ধূসর হয়ে উঠেছি, আঙুলের ভাঁজে দেখেছি স্মৃতি ও
বৃষ্টির মর্মান্তিক পতন উল্লাস,
চিরমগ্ন হয়ে নিজেকে
খুঁজেছি মেডলিন
লিপস্টিকে পেইন্টিং করা
তোমার ঠোঁটের
রবীন্দ্রসদনে....
আমাকে ভালোবাসার জন্য নগ্ন পায়ে হাঁটতে
হবে না রাষ্ট্রিক পথধরে, বলতে হবে না
শত্রুভুক রাত্রির সমসাময়িক
বিষাদকাহন....
যারা আমাকে ব্যাকরণসিদ্ধ প্রেমিক ভেবে
প্রতিপুরুষের স্বাদ খোঁজে, অন্ধকারে
স্পর্শ করতে চায়
আমার অগ্নিময়
কন্ঠনালী,
আমাকে আরেকবার ভালোবাসা
উচিত বলে যারা প্রিয়তমা
সেজে সামনে আসে-
আমি ওদের
ভালোবাসা থেকে ছুটি পেতে
চাই। স্থির হয়ে দেখতে
চাই মৃত্যু ও অসংখ্য
মৃতদেহ....
আমার উদ্ভ্রান্ত সত্তা এখন অপুরুষ থেকে সুপুরুষ
হতে চায়, ফুসফুসের জ্বলন্ত বায়ুতে পোড়াতে
চায় পিতামহের রেখে যাওয়া সেকেলে
সেইসব প্রেম ও ক্রোধ। একটি
মুহূর্ত আমাকে দিতে চায়
শব্দগত নাগরিক
ভালোবাসা ও
দীর্ঘশ্বাস....
কিন্তু আমি কেবল তোমার জন্য শোকাহত হতে ভালোবাসি, তোমার বিষাদগুলো
ওষ্ঠপুটে ধারণ করতে
ভালোবাসি,
একালের যুবতীদের ভালোবাসা থেকে
নিজেকে সরিয়ে সুসংবদ্ধ হতে
ভালোবাসি, এমনকি আমি
তোমাকে বারবার
ভালোবাসতেও
ভালোবাসি....
০৮/০২/২০২১ খ্রি.
আবৃত্তিকার: সৃষ্টিসুখের উল্লাসে (সরস্বতী দাস, ভারত)
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১১০ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন