অপুরুষত্ব, গণহত্যা এবং সপুংসক শকুনের গ্রাফচিত্র

এম মনজুরুল ইসলাম এম মনজুরুল ইসলাম

আমাদের নাগরিক ভালোবাসার ভাঁজভাঙা
আয়াতগুলো এখন পূর্ব-পুরুষদের
সকৃতজ্ঞ ভালোবাসা থেকে
নির্যাতিত ও শোকাবহ
ইতিবৃত্ত লিখতে
গিয়ে হয়ে
ওঠে
অ-গণতান্ত্রিক অনুবাদ....

আপনারা জানেন?
এখন আমরা নদী ও সমুদ্রের মতো বহুব্রীহি, ফার্মগেটের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা
অস্থি-মাংসের সামাজিক
সংসার। আমরা
এখন আর
ডিলান
টমাস পড়ি না,
আমাদের ওয়েস্টার্ন মেয়েটাও আর
ভিকারুননিসায় যেতে
চায় না....

কারণ,
সেখানে খাঁজ-কাটা নিতম্বের মাংসল স্বাদ নিতে
ক্ষুধার্ত হয়ে ওঠে পরিমল ও মুরাদ
স্যারদের নৃশংসতম
সপুংসক
শকুন....

আমাদের কেউ নেই, কিছুই নেই! আমাদের বিছানায় চাদর নেই, মশারি নেই, জানালায় পর্দাও
নেই। আমরা এখন গ্যাস সিলিন্ডার
বিস্ফোরণে শহরের ট্রাফিক
সিগনাল পয়েন্টে পুড়তে
থাকা মানুষটার
জন্য দূর
থেকেই আহাজারি
করি!
আমাদের শরীরে বাদামি
রঙের ত্বকটাও আজ
আর নেই...

এখন আমরা সমবেত মুরতাদ-মুশরিকদের মতো নতজানু হয়ে একটি সার্বজনীন দুঃসংবাদের
অপেক্ষায় থাকি প্রতিদিন!
দেশখণ্ডের একটি
প্রামাণ্য
জিহাদের জন্য স্টেনগান হাতে
হাঁটতে হাঁটতে এখন আমরা
পরাভূত হই। বিমূঢ়
হয়ে মফস্বল
শহরের পরিত্যক্ত
শিল্পকলা অ্যাকাডেমির
ভাঙা গ্যালারিতে
দাঁড়িয়ে
দেখি
চুয়ান্নতম স্বাধীনতার সশব্দ উচ্চারণ
এবং উপহাস ভিত্তিক সুদীর্ঘ
টেলিফিল্মের শেষ
রিহার্সেল....

আপনারা জানেন?
এখন আ-ম-রা গণহত্যা ভালোবাসি,
এখন আ-মা-দে-র রক্তে
প্রজ্জ্বলিত হয় ক্ষুধা,
ক্ষুধা এবং ক্ষুধার
প্রাচীনতম
জারজচিত্র.....

২৭/০৩/২০২৪ খ্রি.
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৯৯ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন