ওদের মুণ্ডুটা একটানে ছিঁড়ে নিয়ে জেলখানায় যেতে পারিনি
এম মনজুরুল ইসলাম
প্রিয় দেশবাসী,
সেদিন রেসকোর্স ফেরত এক উদ্বাহু প্রেমিকার
ইতিবৃত্ত লিখতে চেয়েছিলাম, টি-স্টলের
সামনে দাঁড়িয়ে ধোঁয়া ওড়া
চায়ের কাপে চুমুক
দিয়ে দেখতে
চেয়েছিলাম
আমার সাবালিকা বোনের দ্ব্যর্থক হাসি। আমি
বারবার রক্তের ঋণ ভুলে গিয়ে
নপুংসকের মতো
বাকরুদ্ধ হয়ে
গিয়েছিলাম। আমি অপরাধী,
আমি আমার
ফাঁ
সি
চা
ই........
যারা আমার বোনের গা ঝলসে দিয়েছিল অ্যাসিডে,
ধর্ষণ করে ছিঁড়ে ফেলেছিল যোনিপথ কিংবা
শরীরের বাদামি ত্বকে নখ বসিয়েছিল-
আমি ওদের বিচারের দাবিতে
রাজপথে নেমে লাশ
হতে পারিনি,
আমি আমার রক্তকে ভালোবেসে ওদের
মুণ্ডুটা একটানে ছিঁড়ে নিয়ে
জেলখানায় যেতে
পারিনি..........
আমার ভিতরটা এখন অগ্নিশিখার মতো
জ্বলতে থাকে, এক একটা মূর্তিমান
স্বপ্নকে বুকে চেপে মৃতদের
মতো পড়ে থাকি
একা........
যেদিন অফিস থেকে ফেরার পথে ওরা আমার স্ত্রীকে
রিকশার ওপর লাঞ্ছিত করেছিল, আঁচল ধরে
টেনে হিঁচড়ে উবু করে রাস্তায় ফেলে
রেখেছিল- আমি সেদিনও
নিস্তব্ধতা ভেঙে
বুক উঁচিয়ে
ওদের সামনে যেতে পারিনি, ওদের ফাঁসির
দাবিতে একটি শব্দকেও কবিতা
বানাতে
পা
রি
নি.....
প্রিয় দেশবাসী,
আমি সেদিন আমার বোন ও স্ত্রীর চোখে
পুঞ্জীভূত ক্ষোভ
দেখেছিলাম, বঞ্চিত স্বামীদের মুখে
দেখেছিলাম
হাজার বছরের পুরোনো আর্তনাদ। শহিদ
মিনার থেকে খসে-পড়া ইট আমাকে
হাঁটতে হাঁটতে শৈশবের
সভ্যতার কাছে
গিয়ে জিজ্ঞেস করতে বলেছিল- ‘আমি
জলপাই
রঙের অন্ধকারে বিষণ্ন মাংসের তুফান
দেখে ন্যায় বিচারের কথা ভুলে
যাই কি না? বিধবার সাদা
শাড়ির আঁচলে মুখ লুকিয়ে
ঘামে ভেজাই
কি না আমার কপালের সবগুলো
ভাঁজ?’ কিন্তু আমি
লজ্জায় ওখানেও যেতে পারিনি...........
প্রিয়তমা বোন, প্রিয়তমা স্ত্রী- তোমরা আমাকে ঘৃণা না করে
জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ কর, কাপুরুষ না ভেবে
আমার শিরশ্ছেদ করে ঝুলিয়ে রাখ
তোমাদের ঠোঁটের
চুমুচ্ছ্বাসে। প্রয়োজনে আমাকে বারবার
ফাঁসি দাও.........
প্রিয় দেশবাসী,
এখন আমিই আমার বিচার চাই! এক ফাল্গুনে
অমন অগ্নিবর্ণ
বিকেল আমি আর কখনো দেখিনি।
যে বিকেলে আমার
সাবালিকা বোন যন্ত্রণায় ছটফট করেছে, যে
বিকেলে আমার স্ত্রী আমাকে
বিশ্বাসঘাতক ভেবে
ওর গর্ভের ভ্রূণ
নষ্ট করেছে......
তোমরা আমাকে ফাঁসি দাও, আমাকে হিপনোটাইজ করে
বিকৃত মস্তিষ্কের একপাল হিংস্র কুকুর লেলিয়ে
দাও। ওরা আমাকে ক্ষত বিক্ষত করুক,
কামড়ে
খামচে বের করে ফেলুক কলিজা
ফুসফুস। আমার জন্মসাল
১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দকে পরিত্যক্ত ঘোষণা কর, কিংবা
ওই বছরকে ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে ছিঁড়ে
ফেলে আমাকে যুগশ্রেষ্ঠ মহামারি
হিসাবে আখ্যা দাও......
অবশেষে
আমাকে জ্বালিয়ে দাও
লেবাননের সেই সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের
স্ফুলিঙ্গে। আজই আমি আমার
ফাঁসি চাই......
১৩/০৮/২০২০ খ্রি.
monjurul9942@gmail.com
সেদিন রেসকোর্স ফেরত এক উদ্বাহু প্রেমিকার
ইতিবৃত্ত লিখতে চেয়েছিলাম, টি-স্টলের
সামনে দাঁড়িয়ে ধোঁয়া ওড়া
চায়ের কাপে চুমুক
দিয়ে দেখতে
চেয়েছিলাম
আমার সাবালিকা বোনের দ্ব্যর্থক হাসি। আমি
বারবার রক্তের ঋণ ভুলে গিয়ে
নপুংসকের মতো
বাকরুদ্ধ হয়ে
গিয়েছিলাম। আমি অপরাধী,
আমি আমার
ফাঁ
সি
চা
ই........
যারা আমার বোনের গা ঝলসে দিয়েছিল অ্যাসিডে,
ধর্ষণ করে ছিঁড়ে ফেলেছিল যোনিপথ কিংবা
শরীরের বাদামি ত্বকে নখ বসিয়েছিল-
আমি ওদের বিচারের দাবিতে
রাজপথে নেমে লাশ
হতে পারিনি,
আমি আমার রক্তকে ভালোবেসে ওদের
মুণ্ডুটা একটানে ছিঁড়ে নিয়ে
জেলখানায় যেতে
পারিনি..........
আমার ভিতরটা এখন অগ্নিশিখার মতো
জ্বলতে থাকে, এক একটা মূর্তিমান
স্বপ্নকে বুকে চেপে মৃতদের
মতো পড়ে থাকি
একা........
যেদিন অফিস থেকে ফেরার পথে ওরা আমার স্ত্রীকে
রিকশার ওপর লাঞ্ছিত করেছিল, আঁচল ধরে
টেনে হিঁচড়ে উবু করে রাস্তায় ফেলে
রেখেছিল- আমি সেদিনও
নিস্তব্ধতা ভেঙে
বুক উঁচিয়ে
ওদের সামনে যেতে পারিনি, ওদের ফাঁসির
দাবিতে একটি শব্দকেও কবিতা
বানাতে
পা
রি
নি.....
প্রিয় দেশবাসী,
আমি সেদিন আমার বোন ও স্ত্রীর চোখে
পুঞ্জীভূত ক্ষোভ
দেখেছিলাম, বঞ্চিত স্বামীদের মুখে
দেখেছিলাম
হাজার বছরের পুরোনো আর্তনাদ। শহিদ
মিনার থেকে খসে-পড়া ইট আমাকে
হাঁটতে হাঁটতে শৈশবের
সভ্যতার কাছে
গিয়ে জিজ্ঞেস করতে বলেছিল- ‘আমি
জলপাই
রঙের অন্ধকারে বিষণ্ন মাংসের তুফান
দেখে ন্যায় বিচারের কথা ভুলে
যাই কি না? বিধবার সাদা
শাড়ির আঁচলে মুখ লুকিয়ে
ঘামে ভেজাই
কি না আমার কপালের সবগুলো
ভাঁজ?’ কিন্তু আমি
লজ্জায় ওখানেও যেতে পারিনি...........
প্রিয়তমা বোন, প্রিয়তমা স্ত্রী- তোমরা আমাকে ঘৃণা না করে
জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ কর, কাপুরুষ না ভেবে
আমার শিরশ্ছেদ করে ঝুলিয়ে রাখ
তোমাদের ঠোঁটের
চুমুচ্ছ্বাসে। প্রয়োজনে আমাকে বারবার
ফাঁসি দাও.........
প্রিয় দেশবাসী,
এখন আমিই আমার বিচার চাই! এক ফাল্গুনে
অমন অগ্নিবর্ণ
বিকেল আমি আর কখনো দেখিনি।
যে বিকেলে আমার
সাবালিকা বোন যন্ত্রণায় ছটফট করেছে, যে
বিকেলে আমার স্ত্রী আমাকে
বিশ্বাসঘাতক ভেবে
ওর গর্ভের ভ্রূণ
নষ্ট করেছে......
তোমরা আমাকে ফাঁসি দাও, আমাকে হিপনোটাইজ করে
বিকৃত মস্তিষ্কের একপাল হিংস্র কুকুর লেলিয়ে
দাও। ওরা আমাকে ক্ষত বিক্ষত করুক,
কামড়ে
খামচে বের করে ফেলুক কলিজা
ফুসফুস। আমার জন্মসাল
১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দকে পরিত্যক্ত ঘোষণা কর, কিংবা
ওই বছরকে ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে ছিঁড়ে
ফেলে আমাকে যুগশ্রেষ্ঠ মহামারি
হিসাবে আখ্যা দাও......
অবশেষে
আমাকে জ্বালিয়ে দাও
লেবাননের সেই সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের
স্ফুলিঙ্গে। আজই আমি আমার
ফাঁসি চাই......
১৩/০৮/২০২০ খ্রি.
monjurul9942@gmail.com
আবৃত্তিকার: কুমকুম চৌধুরী (ভারত)
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৮৩ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন