আতপ মিশিয়া যেন চন্দ্রিকা শীতলে!–
ভাসমান ছিল, শ্বেত প্রশস্ত ললাটে;
প্রজ্বলিত নেত্রদ্বয়; চির বিরাজিত
উন্নত প্রশস্ত বক্ষে; ক্ষরিত প্রত্যেক
বীর—পদ-সঞ্চালনে;—হেন মূর্ত্তি সখি!
লুকাইয়া অনুপম বীরত্বে তাহার,
সৈন্যের প্রবাহ—যথা মহীরুহচয়,
লুকায় চন্দ্রমাচল[১] আপন গহ্বরে!—
ভাসিল নয়নে মম, ব্যাপিয়া হৃদয়,
ব্যাপিয়া অনন্ত বিশ্ব, ভূতল, গগণ।
সেই মূর্ত্তি, সখি, মম বীরেশ এণ্টনি!
চঞ্চলিয়া বালিকার অচল হৃদয়
প্রথম প্রণয়াবেশে—স্বরগ, ভূতলে!—
সেই মূর্ত্তি, প্রিয় সখি! হইল অন্তর
সুদূর সুন্দর রোমে, কিছু দিন-তরে।
স্থির জলধির জল করিয়া চঞ্চল,
দ্বিতীয়ার চন্দ্র সখি! গেল অস্তাচলে!
“খুলিল দ্বিতীয় অঙ্ক। জনক আমার—
পিতৃনিন্দা, দেবগণ! ক্ষমিও আমারে!—
৩২

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন