তখনও ফাগুনের আগুন সেভাবে লাগেনি পলাশের ডালে।
কৃষ্ণচূড়ার সবুজ পৃথিবী ভরে ওঠেনি রক্তের মতন লালে।
তখনই রাজপথ রঙিন হয়ে উঠেছিল শহিদি আর্তনাদে।
পিচঢালা পথ, সবুজ ঘাস চমকিত লবনাক্ত রক্ত স্বাদে।
চমকে ওঠে ছাত্র-জনতা, বুকে নিয়ে বুলেটের তপ্ত অনুভব।
শিশু অহিউল্লাহ্ কিছু না বুঝেই হয়ে যায় রক্তস্নাত শব।
রফিক, সালাম, জব্বার যেন একেকটি করুণ পাখি।
জীবন বিলিয়েছে অকাতর,শুধু \’মা\’কে হৃদয় অলিন্দে রাখি।
শোষকের ধাতব নিষ্ঠুর হাতিয়ারে পাজর হয়েছে লীন ।
সেই পাজরে পা ফেলেই আজ পেয়েছি বাংলা বলার দিন।
এখন তো সে সময়টুকু হয়ে গ্যাছে শুধু এক কবিতার দিন।
সেই কবিতায় সুর বসিয়ে আমরা পরিশোধ করেছি ঋণ।
এই দিন এলে গাই, \”রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী\”
আর হয় এক লোক দেখানো উৎসব, যেন পূজা বারোয়ারী।
তবুও স্বপ্ন দেখি, নদী চরে বালুর বাঁধ তুলে রাখি আশার।
তোমাদের মাঝে কাঁদতে আসিনি দাবী নিয়ে এসেছি ভাষার।
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন