খেলতে গিয়ে ভুল করে কেউ চাঁদটা ধরতে যায় যখন,
মিষ্টি হেসে দূর থেকে চাঁদ শুধায়, ‘কী চাও, কেন এমন?’
কেউ ভাবল লুকিয়ে তাকে সরিয়ে দেবে মনের ভুলে—
যেন ছায়া, আঁকড়ে ধরলে শুধু বাতাস, যায় যে গ’লে!
এই তো সেদিন স্বপ্ন থেকে হারিয়ে গেল গভীর রাতে,
হাজার প্রদীপ জ্বলল যেন তারই আলোয় চারপাশে।
ঘুম ভাঙলে দেখি তার হাসি আঁকা আছে সকালবেলায়,
কোথাও তার রেশটুকু নেই, তবুও যেন সে রয়ে যায়।
কেউ যদি তার গান মুছে দেয়, কানে বাজে সেই সুরটাই হায়,
কেউ যদি তার নাম মুছে দেয়, আকাশে তার ছবি ভাসায়।
গাছের মতন শিকড় গেঁথে আছে সে দেশের মাটির সাথে,
আকাশ-বাতাস তারে নিয়ে ফেরে বাংলার পথে পথে।
লক্ষ তারার ঝলকানি তার, সাগরের ঢেউ তার কথা,
পাহাড়ের গায়ে তার ছায়া, সে তো প্রাণেরই অমরতা।
খাবার শেষে তৃষ্ণা মেটে তারই স্মৃতিতে, সেই জলে,
বীরের বেশে থাকে সে তো প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের কোলে।
বিকাল হলে গণ্ডা দশেক গল্প তারে নিয়েই বলা,
সন্ধ্যা হলে লাগে যেন তার অমোঘ এক আলোর মেলা।
রাতে সে তার স্বপ্ন দিয়ে দেশটাকে রাখে নিরাপদে,
কেমনে তারে মুছে দেবে কেউ, সে তো আছে আমাদের সত্তাতে!
বললে বেশি ভাববে শেষে এসব কথা বানানো গল্প—
দেখবে যদি আপন চোখে, চোখ মেলো, দেখবে তাকে স্বল্প!

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন