প্রসূন গোস্বামী

কবিতা - হাসি নেই, আলো নেই

প্রসূন গোস্বামী

শহরে আজ মেঘ করেছে —
বিষাদের গন্ধ,

পিচরাস্তার মায়া কেটে
ওঠে কেবল দ্বন্দ্ব।

দালানগুলো ছায়া ফেলে,
পুরোনো ইটের ভার,

প্রতি ভোরে সূর্য ওঠে —
সেও এক অভিনয়, যার

পেছনে লুকিয়ে আছে
অজস্র নীরবতা,

যেন এক ভুল ফর্দ,
ভুল সময়ের কথা।

এই শহরের গ্যাসলাইন,
নর্দমার কালো জল,

অসহ্য নিয়মে বাঁচে
নাগরিক কোলাহল।

কম্পন! হে আদিম ক্রোধ —
এসো তোমার মূর্তিতে,

ভূগর্ভের গভীর থেকে
মন্থন শুরু হোক ভীতিতে।

আকাশে কাঁপুক মেঘ,
এই মাটি;

ভাঙা জানালায়
জমেছে জরাটি।

নাগরিক বাতাসেই
ফাটল ধরেছে প্রাণ,

সে কেবল জীর্ণ সুর,
কোনো নেই পরিত্রাণ।

কষ্টের ভারে তাই
সব আলো নিভে যাক,

এ কেবল ব্যর্থ হওয়া,
জীবনের শেষ ডাক।

বিষাক্ত কাচের গুঁড়ো,
শেষ উপহারে মেশে,

ধূসর ধোঁয়া উড়ুক
এই ব্যর্থতার শেষে।

সব রঙ মুছে যাক,
সব ভুল হোক ক্ষয়,

কম্পন! এসো তবে
এইখানে, নির্ভয়।

ভেঙে দাও সব বাঁধ,
সব অঙ্গীকার,

এই প্রিয় না-লাগা দেশ —
হোক তার সংহার।

আলো নেই, হাসি নেই —
শুধু এক ক্লান্ত ভিড়,

মাটির তলায় যাক
নাগরিক অস্থির।

আমরা চেয়েছি মুক্তি,
চেয়েছি অন্য আকাশ,

যদি মুক্তি আসে ধ্বংসে —
তবে হোক সর্বনাশ।

কম্পন, তোমার পদধ্বনি
হোক আমাদের শেষ গান,

নিয়ে যাক সব রঙ,
সব অপমান।

পরে পড়বো
৫৫
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন