নগরের ড্রেনপথে হাঁটে চিরঞ্জীব এক কাক,
তার ঠোঁটে লাল কালি—
সে জানে, জনতার হাহাকার এখন শুধু
সংসদের মেঝেতে প্রতিধ্বনি।
টেলিভিশনের পর্দা জুড়ে বনসাই গণতন্ত্র,
তার শিকড় কাটা হয়েছে গত নির্বাচনের রাতে।
মাইক্রোফোনের তারে উঠে বসে নতমস্তক সংবাদ,
আর পুরনো পলিটিক্যাল ব্যানারে ছাপা থাকে
শুধু একজন মুখের সাতাশটি ভিন্ন হাসি।
চেকপোস্টের বাতিগুলো এখন
একেকটি অশুভ জোনাকি।
যার আলোয় খোলে না পথ—
বরং মরে যায় একেকটি কবিতা,
আধাখোলা পকেটে চাপা পড়ে একেকটি গণমত।
কোনো এক গোপন মন্ত্রকের নিচতলায়
সাইকেল চালায় এক কিশোর বিজ্ঞানী,
তার নাম রাশেদ, নয় বছর বয়সে গুম।
সে এখন ফেরে নাগরিক অঙ্কে,
ডিএনএ দিয়ে লেখে:
“স্বাধীনতা মানে শুধু স্মৃতিসৌধ নয়,
মাথা উঁচু রেখে প্রশ্ন করার অধিকার।”
খুব ধীরে নগর ছেয়ে নেয় অদৃশ্য কালি,
যা দেখা যায় না চোখে,
তবু শ্বাসে, স্মৃতিতে, ঘামের ফোঁটায় লেগে থাকে।
এক বৃদ্ধ রিকশাওয়ালা বলে—
“এই শহর আগেও নিশ্বাস নিত অন্ধকারে,
কিন্তু এখনকার আঁধারটার গায়ে ধাতব গন্ধ।”
“এই কি আমাদের প্রগতি?” প্রশ্ন রাখে
একজন শিশু তার স্কুলের খাতায়।
শিক্ষক হাসে—লাল কালি দিয়ে লিখে দেয়:
“বিষয়টি পাঠ্যসূচির বাইরে।”

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন