ভ্যাবাগঙ্গারাম সেজে ঘুরছে যারা, নেইকো যাদের জ্ঞান লেশ,
চেহারা দেখে আঁতকে উঠি, এ কেমনতর সন্দেশ!
পেটটি মোটা, মুণ্ডু ছোটো, চোখগুলো ঠিক ঢুলুঢুলু,
কথায় শুধু ভ্যাঁতালে সুর, বুদ্ধিটাতো গুলুগুলু;
উঠবে বসে হঠাৎ যেমন, হাসবে কাঁদে অল্পতেই,
গিলে নেবে যা পাবে হাতে, চাইবে আরও কল্পতেই।
তারেই বলি আজব জীব, আসল রূপে দেখবে কে?
অবাক হবে থমকে রবে, এই সোঁদলের গুণ দেখে!
পাড়ার মোড়ে রতন কাকার, পোষা যে এক ছাগল তার,
আচরণটা দেখলে পরে, ভাবি এ যেন মানুষ তার।
থাকবে না সে শান্ত কভু, রাখবে কেবল মেদ পুষে,
খাবে যখন খেয়াল হবে, ভোজনরসিক রাক্ষুসে!
নাইকো বাছবিচার তাদের, দুপুরবেলা কি ভোরবেলা,
হঠাৎ শুনি অর্থবিহীন, বোকামির যত জোর গলা।
হাঁকড়ে ছোটে বুদ্ধি যেমন, ফেনা হয়ে নদীর বান,
বাপ-মা ভাবে এ কোন শনি, কানে ধরে কাটেন কান।
বলি বাবারে লোহার পেট? এক মুহূর্ত শান্তি নেই?
পেটটি ফোলে শ্রাবণ ধারে, ক্ষান্ত দেবার নামটি নেই!
লেজ নাড়াও, শিং দোলাও, ঘাস খাওয়াও একশোবার,
ছুটে বেড়াও, লাফিয়ে চলো, ফুটবে নাকো বচন তার।
পেটটি ভারে উল্টে পড়ে, হাই ওঠে তার হাঁক দিয়ে,
গিলতে চাহে দালানবাড়ি, জিভখানি তার চাটকিয়ে,
ভূত-প্রেতেরও ভয় লাগে যার, দেখে পালায় ডাক ছেড়ে—
এই সোঁদলদের ধন্যি বলি, মানুষ নামের জানোয়ারে!

৬৩
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন