সকাল হলো, তবু আলো ঢোকে না ঠিকভাবে।
ভেতরের দেয়ালগুলো— অশরীরী ইষ্টক,
যার ভিত্তিপ্রস্তর হলো দীর্ঘশ্বাস—
প্রতিধ্বনিত করে গতকালের অপ্রয়োজনীয় তর্ক।

বাবা, বসে আছেন চেয়ারে;
তাঁর মুখে লেগে আছে গত শতাব্দীর মানচিত্র,
সেখানে কোনো ভবিষ্যৎ নেই,
আছে শুধু অব্যক্ত দেনা-পাওনার খতিয়ান।

মা সেলাই করছেন না,
সেলাই করছেন সময়ের ছেঁড়া প্রান্ত;
প্রতিটি ফোঁড়ে আটকে আছে ‘লোকে কী বলবে’ নামক ফসিল।

শিশুরা ঘুমোয় না,
তারা শুধু অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালনে বিরত থাকে,
কারণ তারা জানে, এই শূন্যতার নিচে চাপা পড়ে আছে—
ছাদ জুড়ে ঝুলে আছে না-বলা অভিশাপের মেঘপুঞ্জ।

এই নির্মাণ, এই স্থায়ী মায়া—
আমরা একে বলি ‘পরিবার’;
অথচ এর প্রতিটি ইট, প্রতিটি আলমারি,
এমনকি পুরোনো কাঠের গন্ধও,
নিছক এক ভয়, যা আমরা অন্য কাউকে
ভালোবাসার ভান করে বাঁচিয়ে রাখি।

কী অদ্ভুত, তাই না?
এই জালই সবচেয়ে নিরাপদ কারাগার।

পরে পড়বো
১১৫
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন