নাহ্, শোনো,
আসল কথাটা হলো,
মেয়েটি যেদিন প্রথম স্বাতন্ত্র‍্য পেল,
না-পাওয়া শৈশবের নখরে ক্লান্ত-উদাস মন।
তারপর অনাদৃত যৌবনের কুহক
যখন কাচের চুড়ি পরিয়ে দিলো হাতে,
তার নামের পাশে জুড়ে গেলো একটি নীরব শব্দ।
‘স্ত্রী’।
যেন এক জং-ধরা সিন্দুক,
চাবির গোছা শুধু স্বামীর পকেটে।
তার ভেতরের অস্ফুট ইচ্ছেরা
এখন দুঃসাহসী প্রজাপতি নয়,
বরং, আলমারির ছায়াচ্ছন্ন কোণে
জমতে থাকা অভিমানী ধুলো।

তুমি কি দেখতে পাও,
রোজ সকালে তার কপালের টিপে
রৌদ্রের মিথ্যা-আভাস?
সে হাসে, ঠিক,
যেমন হাসে পুরোনো দিনের নকশি-কাঁথা
যত্নে ভাঁজ করা, বাক্সের ভেতরে—
যার সুতোয় গাঁথা আহাজারি জানে
শুধু তার অদৃশ্য সেলাই-ফোঁড়।
কষ্টের এই ধূসর আলেখ্যে
আজও সে নিপুণ গৃহিণী।

ব্যাস। আর কোনো অলৌকিক বিবরণ নেই।
এটাই কি তবে গোপন জাদু,
এই সাধারণতা?

পরে পড়বো
৮৯
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন