মানুষের মানচিত্র ৮
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
উঠোনে ছড়ালে ভাত কাকের অভাব হয়? শত কাক আসে।’ সব পাখি কাক নয়, জানা ভালো, সব কাক আসেনা তবুও, কিছু কিছু কাক আছে চিরকাল উড়ে চলে উজান বাতাসে- আমিও তেমন কাক, তোমার উজান স্রোতে দাঁড়ায়ে রয়েছি।
ডাঙায় ডাঙর হয় গভীর ফাটল আর জলে বাড়ে নোনা। এই তো আমার ঘর, রোদে জ্বলা, জলে ভেজা আমার বসতি, এই তো আমার দেশ, এই তো আমার প্রেম,আমার হৃদয়- তিন ভাগ জলের উপর ভাষা এক ভাগ মানবিক মাটি।
তবু সে-মাটিতে নেই আমার দখল, আমার দখলে নেই জীবনের কোন মাটি। উজান জলের এক বিশাল ভুবনে দাঁড়ায়ে রয়েছি, জানি দাঁড়ায়ে থাকার নাম প্রকৃত জীবন। সকলে বসতে চায়, কেউ কেউ থাকে তবু বিরুদ্ধ স্বভাব।
বানের জলের শেষে প’ড়ে থাকে অকৃপন পলির সংসার, আর তাই দেখে দেখে জংধরা বক্ষে-প্রানে বেজে ওঠে বাঁশি। গাঙের জলেতে চুল খুলে দিয়ে এক বউ শরীর ভেজায়- এই তো আমার ঘর, দিনে রাতে সে-ঘরের খ’সে পড়ে আয়ু।
গোপন ইঁদুর কাটে, কাটে এক সর্বনাশা সোনার কমোট, আমার ঘরের ভিতে গর্ত করে অঘ্রানের কাতর সাপেরা। এই তো আমার প্রেম,এই তো আমার ঘর, আমার স্বদেশ- তিন ভাগ জলের উপরে ভাসা এক ভাগ মানবিক মাটি।।
ডাঙায় ডাঙর হয় গভীর ফাটল আর জলে বাড়ে নোনা। এই তো আমার ঘর, রোদে জ্বলা, জলে ভেজা আমার বসতি, এই তো আমার দেশ, এই তো আমার প্রেম,আমার হৃদয়- তিন ভাগ জলের উপর ভাষা এক ভাগ মানবিক মাটি।
তবু সে-মাটিতে নেই আমার দখল, আমার দখলে নেই জীবনের কোন মাটি। উজান জলের এক বিশাল ভুবনে দাঁড়ায়ে রয়েছি, জানি দাঁড়ায়ে থাকার নাম প্রকৃত জীবন। সকলে বসতে চায়, কেউ কেউ থাকে তবু বিরুদ্ধ স্বভাব।
বানের জলের শেষে প’ড়ে থাকে অকৃপন পলির সংসার, আর তাই দেখে দেখে জংধরা বক্ষে-প্রানে বেজে ওঠে বাঁশি। গাঙের জলেতে চুল খুলে দিয়ে এক বউ শরীর ভেজায়- এই তো আমার ঘর, দিনে রাতে সে-ঘরের খ’সে পড়ে আয়ু।
গোপন ইঁদুর কাটে, কাটে এক সর্বনাশা সোনার কমোট, আমার ঘরের ভিতে গর্ত করে অঘ্রানের কাতর সাপেরা। এই তো আমার প্রেম,এই তো আমার ঘর, আমার স্বদেশ- তিন ভাগ জলের উপরে ভাসা এক ভাগ মানবিক মাটি।।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১৪৯ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন