অল্পতেই মন খারাপ হয়ে যাওয়া মানুষগুলোই কেবল জানে, জগতে ভালোবাসার কী দরকার, কতটা তীব্র দরকার!
জীবনের দহন পথজুড়ে একা একা ছায়াহীন হেঁটে যাওয়া ক্লান্ত কোন পথিকই কেবল জানে, মমতা আর ভালোবাসার বিস্তৃত কোন বৃক্ষের ছায়া জীবনে কত প্রয়োজন, কত!
অথচ রোজগেরে দিন, হাপিত্যেশের রাত্রি, শ্রম আর ব্যস্ততার দুনিয়া সে সকল তেষ্টাদের কী অসঙ্কোচেই না আড়াল করে রাখে!
বুকের ভেতরের জল জমে গিয়ে কঠিন বরফ হতে হতে ক্রমশই পাথর হয়।
শক্ত কঠিন পাথর।
কিন্তু কখনও কখনও কেউ কেউ জানে, খানিক মমতার স্পর্শ, খানিক নরম গলায় আদুরে ডাক, একটু গভীর চোখের দৃষ্টি কিংবা শক্ত করে বুকের ভেতর জড়িয়ে ধরা ওম কী অদ্ভুতভাবেই না সেই আড়ালের আবডালের জমে থাকা পাথর আর পাথুরে নদীর বুকে ছলছল জলে বান ডাকিয়ে দেয়।
কী অদ্ভুত!
কেবল জলই জানে ভালোবাসা কত তীব্র, মমতা কত প্রগাঢ়!
কিংবা ভালোবাসা, মমতা জানে, জীবনে জলের কী প্রয়োজন, কান্না
কী অপরিহার্য।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন