বেহুঁশ
শংকর ব্রহ্ম
অখিল অন্ধকার বারান্দায় বসে একা একা মদ খাচ্ছিলো।তার বিয়ে করা ইস্ত্রী সুখি তাকে ছেড়ে চলে গেছে, সুরী বিপিনর হাত ধরে,সে রোজ মদ খায় বলে। আর আজ সেই শোক ভুলতেই তার এই মদ গেলা।
বেহেড মাতাল হয়ে অখিল গালি পারছিল,সুখির উদ্দেশ্যে,হারামজাদী বেইমান মাগী,আমার মুখে মদের গন্ধ পাস দেখে,তুই সুরী বিপিনের হাত ধরে ভাগলি,
শালী ধোঁকাবাজ, ও তো তোকে মদে স্নান করাবে রোজ।বলতে বলতে শেষে মদ ভরা গ্লাসের পাশেই গড়িয়ে পড়ল।
এদিকে একটি ইঁদুর লাফালাফি করতে গিয়ে,আচমকা তার মদের গ্লাসের মধ্য পড়ে যায়। পড়ে গিয়ে হাবুডুবু খেতে থাকে।
সেখান দিয়ে তখন পাশের বাড়ির মেনি- বিড়ালটা যাচ্ছিল। ইঁদুর তাকে দেখতে পেয়ে ডেকে বলল, ভাই তুমি আমাকে প্রথমে এখান থেকে বের কর,তারপর যা ইচ্ছে হয় কোরো, যদি ইচ্ছে হয়, আমাকে খেয়ে ফেলো তুমি। আমি কোন আপত্তি করব না, মদের গন্ধে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।
মেনি শুনে, লাথি মেরে মদের গ্লাসটা কাৎ করে মাটিতে ফেলে দিল। আর ইঁদুর বেরিয়ে পড়ে, দৌঁড়ে পালাল।
তখন বিড়াল খুব রেগে গিয়ে বলল, শালা তুই মিথ্যাবাদী, ধোকাবাজ, বেইমান। তুই তো বলেছিলি, আমাকে এখান থেকে বের করো, তারপর ইচ্ছে হলে আমাকে খেয়ে নিয়ো।
ইঁদুর এবার লাজুক হেসে বলল, রাগ কোরো না দোস্ত, তখন তো আমি নেশার ঘোরে বেহুঁশ ছিলাম।
অখিল শুনে বলল, কে রে শালা আবার নেশার ঘোরে বেহুঁশ। আমার কিন্তু একটুও নেশা হয়নি দোস্ত।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন