শংকর ব্রহ্ম

আলোচনা - ‘চম্পূ’কাব্য

শংকর ব্রহ্ম
মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

‘চম্পূ’কাব্য
শংকর ব্রহ্ম

যে সকল কাব্যে গদ্য ও পদ্যের আনুপাতিক হার প্রায় সমান সমান তাকে বলা হয় ‘চম্পূ’কাব্য।
কবি কোন কোন সময় তার মনের সম্পূর্ণ ‘কাব্যিক ভাব’ পদ্যে প্রকাশ করতে অপারগ হয়ে পড়েন,যখন বাধ্য হয়ে তিনি আশ্রয় নেন গদ্যের। তখন সে লিখতে বাধ্য হয় গদ্য পদ্য মিশ্রিত ‘চম্পূ’কাব্য।

‘সিংহাদিত্য’ রচিত সংস্কৃত কাব্য ‘আর্যাবর্তবর্ণন’ (মহাভারত থেকে নেওয়া), এর উদাহরণ হলেও, বাংলা কাব্যে (গদ্য-পদ্য মিশ্রিত) ‘চম্পূ’কাব্য-এর উদাহরণ তেমন খুব-একটা নেই বললেই চলে। যা আছে তা নিছক গদ্যে কিংবা পদ্যে রচিত কাব্য,গদ্য-পদ্য মিশ্রিত আঙ্গিকে নয়।

চম্পূকাব্যের একটা নিদর্শন –

মনোব্যথা
শংকর ব্রহ্ম

মাঝে মাঝে শূন্যতা এসে গ্রাস করে নিতে চায় সব
একা লাগে বড়, বুকের ভিতর ওঠে খাঁখাঁ করে
আমি সে শূন্যতা ভরাতে চাই
না পাওয়া যত ভালবাসা, মনে জড়ো করে।
আর তার নির্যাস ঢেলে দিতে চাই কবিতায়
সবটা পারি না দিতে তাই
বুকের ভিতরে শুধু ছটফট করে ওঠে
মন করে ওঠে হায় হায়
একা একা কষ্ট পাই মনের ভিতরে
তবু জনে জনে ডেকে বলতে পারি না সে কষ্টের কথা,
তা জমে জমে পাথর হয়ে ওঠে
মনের ভিতরে জমে ব্যথা।
বাস্তব ও ভার্চুয়াল জগতে তবু বন্ধু আছে কত,
ক’জনের কাছে আর মন খুলে বসি অবিরত?

১৩৮
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন