উত্তরচল্লিশ আমি; পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চি কিংবা
তারও কম উচ্চতা আমার। চুলের শ্বেত পতাকার
কী বাহার ইদানীং নানান ব্যাধির গলাগলি
এ শরীরে এবং আয়ুর ভেলা নিত্য কম্পমান।
তা’বলে ছাড়িনি হাল, নৈরাশ্যের পংক্তি অনর্গল
করি না আবৃত্তি যত্রতত্র; বরং চরম রৌদ্রে
অকুণ্ঠ বেরিয়ে পড়ি বার বার, নিজেকে জড়াই
উদার অমিত্রাক্ষরে জীবনের, কড়ি ও কোমলে।
যখন বাড়ায় ঠোঁট নিঃসঙ্গতা, আমিও চুম্বন
করি তাকে, নিই শুষে অবিরাম অস্তিত্বের রুক্ষ
প্রান্তরের প্রতিধ্বনিগুলি। অগোচরে অনুভূতি
শেফালির মতো ভেজে গোপন শিশিরে চিরদিন।
লুকিয়ে কী লাভ আর? প্রায়শ ভাঁড়ারে পড়ে টান,
অথচ স্বপ্নের নকশি পিঠে প্রত্যহ আহার করি।
কবিত্বের উৎসে দোলে স্বপ্ন কিবা দুঃস্বপ্নের ছায়া,
সুখের পাখির ডাক শুনি শুয়ে দুঃখের ছায়ায়।
নিজেই অবাক মানি আজকাল, কী নির্লজ্জ আমি।
জনসমক্ষেই তুলি আমার মনের চিটচিটে
খুশ্কি ইতস্তত আর ব্যক্তিগত রাখি না কিছুই-
দিয়েছি প্রকাশ্যে মেলে অন্তর্গত সব ডালপালা।
আমার প্রিয়ার চোখ, চুল, বুক, হৃৎস্পন্দনের
ঢেউ পরিচিত অনেকের কাছে আমারই কৃপায়।
নিজেকে রেখেছি নগ্ন করে সাধারণ্যে আজীবন,
বিনিময়ে লভ্য কিছু খ্যাতি আর মুদ্রা কতিপয়।
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন