যত তুমি বকোঝকা মেরেকুটে করো কুচিকুচি–
আমি কিন্তু তবু বলব এসবেই আন্তরিক রুচি
ঘরে থাকতে অল্প মতি, রোদে রোদে পথে ঘুরে ফেরা,
আকাশে বিচিত্র মেঘ নানা ছন্দে তোলে যে অপেরা
তাতে লুপ্ত হতে হতে রুক্ষ চুলে বাড়ি ফিরে আসা
পোড়া-মুখে চিহ্ন তার অকুণ্ঠ বিস্মিত ভালোবাসা!
ক্ষিদেয় তৃষ্ণায় টলে কণ্ঠাবধি সমস্ত শরীর,
অভ্যাস মরে না জেনে দুই চোখে তুমি তোলো তীর
তা সত্ত্বেও বিনাস্নানে ভালো লাগে মধ্যাহ্নভোজন। স্বাস্থ্যকে তা ক্ষুণ্ণ করে, দিনে দিনে কমায় ওজন,
ভদ্রতা বিপন্ন হয়– নানাজনে করে কানাকানি,
এ সবই যে দুঃখপ্রদ, সন্দেহ কী, অবশ্য তা মানি।
কিন্তু তবু নিরুপায়। স্বভাবে যে পৃথিবীর মুঠি
তাকে আলগা করা তার সাধ্য নয়- প্রকাণ্ড ভ্রুকুটি
প্রকাণ্ড দুর্বৃত্ত দিন মুষড়ে পড়ে যে-আমার পায়ে
সে যে মরে ছুটে ছুটে মগ্ন হয়ে বিবিধ অন্যায়ে
তাকে কী ফেরাব আমি। অসম্ভব, অসম্ভব প্রিয়
আমাকে ভুবন দাও আমি দেব সমস্ত অমিয়!
এখন পর্যন্ত লেখাটি পড়া হয়েছে ২২৭ বার
যদি লেখাটি সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন