ও তরুণী কবি,
তুমি যতবার ‘স্তন’ শব্দ বলো আর ভয়ানক তৃপ্ত হও,
আমি ততবার তোমার আরও কাছে,
আরও আরও কাছে গিয়ে বলি,’ওদের নাম তুমি কী রাখলে?’
তুমি অবাক হয়ে বল,’স্তন মানে স্তন,তার আবার নতুন নাম কি?’
আমিও উত্তরে বলি,’যতদিন ওদের নাম উমনো-ঝুমনো,
লক্ষ্মী-সরস্বতী বা
দুর্গা-কালী না রাখো,ততদিন ওরা ঠিক ঝাঁকুনি দিতে পারবে না,জানো!
সে তুমি যতই ওদের ওই একটা নামেই ডাকো!’
তরুণী কবি,তুমি ভয়ানক বিরক্ত হয়ে বলবে,’আসলে বলুন,আপনি স্তন উচ্চারণে ভয় পান!
আমি ভয় পাই না!’
আমি বলবো,’আসলে কি জানো,ওদের নিয়ে লোফালুফি করতে দিলে যাকে,
সেও তাদের কোনো নাম দিল না?
অন্তত,সোনাবল আমার!
রূপাবল আমার!এমন কিছু?’
তরুণী কবি খুব রাগী!
আরও বিরক্ত হয়ে হাঁটা দেয়,
কাঁধে ঝুলি,ঝুলির ভেতর কবিতার ডায়েরি,
তার ভেতর স্তন আর স্তন…
আমি তার মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে চেয়েছিলাম একটা শীত রঙের আদর,যাতে আগুন জ্বলার আরামে
শীতের ঝাণ্ডির রাত আরো মহীয়ান হয়ে ওঠে!
আরো জীবন্ত!
পারলাম না!
পুরোনো কবিদের এই এক দোষ!

০
০
সেভ বা রিয়েক্ট করার জন্য লগইন করে নিন!
২৯
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন