বাধা
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
কথা বলতে এসো না, আমি থুতুর গন্ধ সইতে পারি না
কালো জিভ দিয়ে লাল নাকগুলো চেটে নাও
ভুরু বেঁকালেই মনে হয় পা ছড়িয়ে বসে আছ
আমি তোমাদের সমস্ত দরজা দেখতে পাই।
আমি একা বসেছিলাম তোমরা এলে তিনজন শাড়ি ও একটি স্কুল ফ্রক
ঠান্ডা গলায় মাত্র জিজ্ঞেস করলুম ভালো আছ? তোমরা
বললে পৃথিবীতে কেউ ভালো নেই আজ আর, কেন
যৌবনে কুকরীও ধন্যা আর তোমরা—একথা আমি
বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু মনে পড়ল মনে পড়ল মনে পড়ল।
মনে, আমি আমি আমি
গভীর অরণ্যের মধ্যে তোমাদের হাতের গুচ্ছ ধরে স্বর্গে
নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, আমি তোমাদের চোখের
জলে অনেক সকালবেলা মুখ প্রক্ষালন করেছি আমি
তোমাদের, তোমাদের, তোমাদের, তোমাদের, আমি
ঠান্ডা মাটির মধ্যে ছমাস ঘুমিয়ে ছিলাম
আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। স্তব্ধতা চুপ করে ছিল
আমার ছায়া বহুমূল্যে বিক্রী হয়ে গেল, আমি অসংখ্য
উত্তর পেলাম। আমি আর
তোমাদের বাদ দিয়েও একা নই।
কালো জিভ দিয়ে লাল নাকগুলো চেটে নাও
ভুরু বেঁকালেই মনে হয় পা ছড়িয়ে বসে আছ
আমি তোমাদের সমস্ত দরজা দেখতে পাই।
আমি একা বসেছিলাম তোমরা এলে তিনজন শাড়ি ও একটি স্কুল ফ্রক
ঠান্ডা গলায় মাত্র জিজ্ঞেস করলুম ভালো আছ? তোমরা
বললে পৃথিবীতে কেউ ভালো নেই আজ আর, কেন
যৌবনে কুকরীও ধন্যা আর তোমরা—একথা আমি
বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু মনে পড়ল মনে পড়ল মনে পড়ল।
মনে, আমি আমি আমি
গভীর অরণ্যের মধ্যে তোমাদের হাতের গুচ্ছ ধরে স্বর্গে
নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, আমি তোমাদের চোখের
জলে অনেক সকালবেলা মুখ প্রক্ষালন করেছি আমি
তোমাদের, তোমাদের, তোমাদের, তোমাদের, আমি
ঠান্ডা মাটির মধ্যে ছমাস ঘুমিয়ে ছিলাম
আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। স্তব্ধতা চুপ করে ছিল
আমার ছায়া বহুমূল্যে বিক্রী হয়ে গেল, আমি অসংখ্য
উত্তর পেলাম। আমি আর
তোমাদের বাদ দিয়েও একা নই।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৫৪ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন