চলো যাই

সুনীতি দেবনাথ

আমরা এখন অন্য দিগন্তে দাঁড়িয়ে—
অমল এ লিপিকা এসেছে কোথা থেকে
কোন সুদূর নক্ষত্রের আলোকোজ্জ্বল
মহিমার বাণীবহ রয়েছে অজানা।
এই তনু পুরোনো জীর্ণতায় জর্জর
ছাড়তে হবে যেতে হবে কোন সে গ্রহে,
তুমিও জানো না আমিও জানিনা মোটে।
তবু খোলা দরজা পেরিয়ে যেতে হবে
ঘরের চৌহদ্দি পেরিয়ে উঠোনে নেমে
পায়ে পায়ে চলতে হবে নামতে হবে
খোলা পথে বেদিশা ঠিকানা অজানায়।
চলো না সেদিনের মতোই চলো যাই
একটিবার, হোক না শেষবার হোক,
নদীর কাছে যাই স্রোতের কাছে যাই,
শিখে নিই গতির চরম কথাখানি —
এগিয়ে চলায় পেছন ফেরাটা মানা
চল চল জল সামনেই কল কল —
কেমন চলা সাগরে নয় উৎসে ফেরা!
বিশ্ব জুড়েই তুমি আমি ছড়িয়ে আছি
এবার যাত্রা তোমার আমার একাকী,
দেখা হবে জানি আবার সেই সেখানে
মিলে মিশে সর্বশেষে হবো একাকার।
পরমের খণ্ড তো বেদনা চিরন্তন,
নিরাকার নির্বিকার হয় শুধু পূর্ণ।
অনন্ত কি সত্যিই অপার সীমাহীন
সমগ্র অনন্ত জুড়ে প্রসারিত সেই
পরম একক, তার খণ্ডিত বিলাসে
তুমি আমি দৃশ্য অদৃশ্য সব কিছুই।
একের খণ্ড অবকাশ বিরহ পথে
পূর্ণতার মিলনেই প্রাপ্তির আনন্দ,
চলো আজ সেই আনন্দপথেই হাঁটি।
মিথ্যা জন্ম – মৃত্যু মিথ্যা বিরহ বেদনা
সত্য শুধু অনির্বান আনন্দ অসীম —
আলোয় আলো হয়ে প্রতিভাসিত হই।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১৫৮ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন