আরণ্যক বসু

কবিতা - সর্বনাশের সাঁঝবেলা!

আরণ্যক বসু

পঞ্চমীর বাপের বাড়ির
শিউলি ব্যালকনিতে
একরাশ সুন্দরী আঁধার হয়ে বসে ছিলাম রে… নির্জন।
গেলে দেখা হবেই ভেবে, যাইনি মেয়েবেলার অগােছালাে প্যান্ডেলের জলসায়।
তাতে কি রক্ষা আছে? তুই তাে চুপ করে থাকা শিখিসনি ছােট্টবেলার নির্জন বন্ধু আমার!
কে তােকে ভাঙা-ভাঙা গলায় ও গান ধরতে বলেছিল? কে?
পাশে একটা শাকচুন্নির ন্যাকা গলা গেলাম, বিয়ে তাে করিসনি। তবে কে সে?

ভালাে করলি রে নির্জন?
এটা ভালাে করলি?

সারারাত, সারাটা ছেড়াখোড়া রাত যে আমি
কানের লতিতে চুমুর স্পর্শ পেয়ে,
তাের ফিসফিস রােমান্টিক গলার উষ্ণতায় গলে, জ্বলে, ছাই হয়ে গেলাম!
কেন গেয়ে উঠলি রে অমন করে…
ও, বীন তেরে দিন কঁহি লাগতা নেহি, ওয়াক্ত গুজরতা নেহি…
ক্যয়া এ হী প্যায়ার হ্যায়?
হাঁ এ হী প্যায়ার হ্যায়…
ও নির্জন, ও সর্বনাশের ভালােবাসা…
আমি যে শেষ শিউলি পর্যন্ত এই উন্মনা ব্যালকনি হয়েই থেকে যাব!

খারাপ, তুই খুউব খারাপ রে নির্জন।

৩৩২
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন