দেখা হলে বজ্রপাত!
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
লক্ষণীয় এই বজ্রপাত !
ছিলে তো কটকে তাই হয়ে উঠলে ঋণী---
ঘনিষ্ঠ, আপন হয়ে ছিলে তো জঠরে
অর্থাৎ পাশের খাটে |
নিলাম তোমাকে, শুধু বলবে ওর কথা—
কেমন প্রশান্তি তার সাগরবন্ধনে,
শুধু বলবে ওর কথা, প্রকৃত কী ক্ষীণ
হয়েছে হৃদয়রোগে এ-বুড্ ডি বয়েসে ?
শুধু বলবে ওর কথা, কেমন প্রাকৃত
রয়ে গেছে সে-যেমন কিশোর-বয়েসে !
কিছুই বললে না, শুধু বললে তুমি এসো
নির্জন মন্দিরে এক দেবীকে দেখাব,
দেবীর পুজারী নই, আমি নিরঞ্জন,
দেবীমূর্তি আমি তার কল্পনা করিনি,
অদ্ভুত কিশোরী মূর্তি ছিল তার এক
নদী বিভাজনে নয়, ছিল শীর্ণা নদী |
জলপ্রপাতের তলে স্নানার্থী একজন |
নদীকে বেসেছে ভাল, তা ব’লে সে নদী
কখনো থামেনি. তার খরস্রোত গিয়েছিল বয়ে
স্নানার্থী গোপনে তাকে প্রণিপাত করে !
গোলচক্র বসেছিল পোর্টিকোর পাশে
ঘাসের উপর, যার একদিকে দেয়াল |
তুমি এসেছিলে যেন হঠাৎ তমসা
নদীর প্রাগুক্ত কূলে বাল্মীকির মতো,
যদিও তরুণী, তবু বাল্মীকির মতো !
তমসা নদীর কূলে কে যে এসেছিল ?
যাবার সময় শুধু ছুঁয়েছিলে হাত
হাতের অঙ্গুলিগুলি, কেন ছুঁয়েছিলে ?
করে গেলে বিদ্যুতচালিত তোমার অঙ্গুলি স্পর্শে !
আমি যেন বাজ-পড়া গাছ,
দাঁড়িয়ে রয়েছি স্থাণু , সর্বত্র জ্বলেছে |
খসে গেছে মাথা বুক সর্বত্র জ্বলেছে,
হাতে-পায়ে শক্তি নেই, চলচ্ছক্তিহীন
হয়েছি, দাঁড়িয়ে আছি তোমার সম্মুখে |
--- এখনো এতটা পোড়ো ! পোড়া-ও কমেনি ?
--- চিরদিন সঙ্গ পেলে এতটা পুড়ত না,
কোথায় কীভাবে আছি, মন শুধু জানে |
মোটেই খারাপ নেই, কিন্তু, দেখা পেলে
ভূমণ্ডল তছনছ, সাজানো বাগান---
মুহূর্তে শুকিয়ে যায় না-পাওয়া ক্রন্দনে !
--- এত ভালবাসতে তবু মুখ ফুটে বলোনি
বললে কিছু করা যেত, তখনি নিশ্চিত |
--- ছিল না উপায় কিছু, সেজন্যে বলোনি
বললে কিছু করা যেত, তখনি নিশ্চিত |
--- ছিল না উপায় কিছু, সেজন্যে বলিনি
তা ছাড়া, বলার বেশি বুঝতে পেরেছিলে,
ছিলে অসমর্থ, তাই অফলা সুযোগে
পালিয়েছিলাম দূরে, নিকটে আসিনি,
নিকটে যাবার কষ্ট, সে তুমি বুঝবে না !
---বয়েস কাঁচাই ছিল, সে জন্যে বুঝিনি,
আজ তো সঠিক বুঝি, কিন্তু নিরুপায়
দু’জনে দু’পারে, শুধু মাঝে নদী আছে |
নদী একমাত্র আছে দুই পার ছুঁয়ে---
এও তো যথেষ্ট, বলো তুমি মামবে কিনা ?
---মানি আমি বারবার, হবার যা নয়
তাই হয়নি কিছুতেই, এ তো ভাল থাকা
দু’জন দু’প্রান্তে দুই খেলাঘরে আছি
লক্ষণীয়, দেখা হলে হয় বজ্রপাত !
ছিলে তো কটকে তাই হয়ে উঠলে ঋণী---
ঘনিষ্ঠ, আপন হয়ে ছিলে তো জঠরে
অর্থাৎ পাশের খাটে |
নিলাম তোমাকে, শুধু বলবে ওর কথা—
কেমন প্রশান্তি তার সাগরবন্ধনে,
শুধু বলবে ওর কথা, প্রকৃত কী ক্ষীণ
হয়েছে হৃদয়রোগে এ-বুড্ ডি বয়েসে ?
শুধু বলবে ওর কথা, কেমন প্রাকৃত
রয়ে গেছে সে-যেমন কিশোর-বয়েসে !
কিছুই বললে না, শুধু বললে তুমি এসো
নির্জন মন্দিরে এক দেবীকে দেখাব,
দেবীর পুজারী নই, আমি নিরঞ্জন,
দেবীমূর্তি আমি তার কল্পনা করিনি,
অদ্ভুত কিশোরী মূর্তি ছিল তার এক
নদী বিভাজনে নয়, ছিল শীর্ণা নদী |
জলপ্রপাতের তলে স্নানার্থী একজন |
নদীকে বেসেছে ভাল, তা ব’লে সে নদী
কখনো থামেনি. তার খরস্রোত গিয়েছিল বয়ে
স্নানার্থী গোপনে তাকে প্রণিপাত করে !
গোলচক্র বসেছিল পোর্টিকোর পাশে
ঘাসের উপর, যার একদিকে দেয়াল |
তুমি এসেছিলে যেন হঠাৎ তমসা
নদীর প্রাগুক্ত কূলে বাল্মীকির মতো,
যদিও তরুণী, তবু বাল্মীকির মতো !
তমসা নদীর কূলে কে যে এসেছিল ?
যাবার সময় শুধু ছুঁয়েছিলে হাত
হাতের অঙ্গুলিগুলি, কেন ছুঁয়েছিলে ?
করে গেলে বিদ্যুতচালিত তোমার অঙ্গুলি স্পর্শে !
আমি যেন বাজ-পড়া গাছ,
দাঁড়িয়ে রয়েছি স্থাণু , সর্বত্র জ্বলেছে |
খসে গেছে মাথা বুক সর্বত্র জ্বলেছে,
হাতে-পায়ে শক্তি নেই, চলচ্ছক্তিহীন
হয়েছি, দাঁড়িয়ে আছি তোমার সম্মুখে |
--- এখনো এতটা পোড়ো ! পোড়া-ও কমেনি ?
--- চিরদিন সঙ্গ পেলে এতটা পুড়ত না,
কোথায় কীভাবে আছি, মন শুধু জানে |
মোটেই খারাপ নেই, কিন্তু, দেখা পেলে
ভূমণ্ডল তছনছ, সাজানো বাগান---
মুহূর্তে শুকিয়ে যায় না-পাওয়া ক্রন্দনে !
--- এত ভালবাসতে তবু মুখ ফুটে বলোনি
বললে কিছু করা যেত, তখনি নিশ্চিত |
--- ছিল না উপায় কিছু, সেজন্যে বলোনি
বললে কিছু করা যেত, তখনি নিশ্চিত |
--- ছিল না উপায় কিছু, সেজন্যে বলিনি
তা ছাড়া, বলার বেশি বুঝতে পেরেছিলে,
ছিলে অসমর্থ, তাই অফলা সুযোগে
পালিয়েছিলাম দূরে, নিকটে আসিনি,
নিকটে যাবার কষ্ট, সে তুমি বুঝবে না !
---বয়েস কাঁচাই ছিল, সে জন্যে বুঝিনি,
আজ তো সঠিক বুঝি, কিন্তু নিরুপায়
দু’জনে দু’পারে, শুধু মাঝে নদী আছে |
নদী একমাত্র আছে দুই পার ছুঁয়ে---
এও তো যথেষ্ট, বলো তুমি মামবে কিনা ?
---মানি আমি বারবার, হবার যা নয়
তাই হয়নি কিছুতেই, এ তো ভাল থাকা
দু’জন দু’প্রান্তে দুই খেলাঘরে আছি
লক্ষণীয়, দেখা হলে হয় বজ্রপাত !
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৪২৩ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন