যদি কৃষ্ণচূড়া হও,ঝড় তোলো যদি,
যদি শতচ্ছিন্ন করো নদীর কাফন
আমি দেবো না তো বাধা, বোলবো না – প্রিয়াঞ্জনা, আজ অন্য কথা হোক
আজ তুমি অন্তত একবার
আমাকে খুব ভুলে যাও, ভুলে যাও
কষ্টের মোহ মায়া, ভুলে থাকো- মানুষকে ভালোবাসা পাপ!
এই রোরুদ্যমান ক্লান্তির
মজ্জাগত ছাপ -সে আমার
পদচিহ্ন নয়। আমি তো মরি নি আজও
বুকে নিয়ে গহীন গোপন। মৃত্যুকে আমৃত্যু মেহন
করতে গিয়ে এসেছি তো ফিরে বহুবার
অন্তশীলার,শৈলীর, আর কতো
নাম না-জানা বসন্তমাছির
কতোবার হয়েছিলো শুরু এইভাবে – কে এই হরিৎ কংকালসার!
সে কি আমার মতন
পায়ের নিচ থেকে সরে গেছে মাটি সেই কবে তার!
এসব রেখোনা মনে, প্রিয়াঞ্জনা
আজ অন্য কিছু বলো।
নতুন স্বরের সন্ধানে অনুসন্ধানী আমি গিয়েছি শ্মশানে লাশকাটা ঘরে
নিষিদ্ধ আমিষাশী পাড়ায়
খুন হওয়া রক্তের কাছে গিয়ে দেখি-
অণুচক্রিকা, দেখি- অনিচ্ছুক
নারীরও ভুল হয়। তবু সেই ভুল নারী
হৃদয় কুঠুরি সেঁচে
পুরুষের আরাধ্য হয়ে তন্ত্র ত্রিবেণীর সুত্র গেঁথে দিয়ে
নক্ষত্রমদিরার মতো
কী যে এক মুগ্ধ বিস্ময়!
না,যাই নি তো ভুলে-
হোক না সে ভুল ,ভুল সে হয়তো বা নয় ।
পার্বতী হয়ে সে যে শিবের অঙ্গ
ভূমধ্যখননে বেছে নেয়,এ পৃথিবী
সংহার মুক্ত তবে হয়,এ কথা পুরাণের,
এ কথা পুরান তবু নয়।
প্রিয়তমা প্রিয়াঞ্জনা, তুমি
পুরুষনির্ণিত এ বুনো সংসারে এসে
শতাব্দীবাহিত ক্ষত ছেনে
দেখে নিও এই বুকে যে কথা
লেখা আছে- প্রান্তিক অথবা ব্রাত্য সেই কথা,
সে কথা পরাগরেণুর পুষ্পগাথা
যেনোবা কাঁদছে এ পৃথিবী
আর কাঁপছে এ স্বদেশ আমার
কিশোরীর কুমারীত্ব হরণের
অনুভব নিয়ে!
অথচ কী অদ্ভুত
হে প্রিয়াঞ্জনা, এমন ভোরের ক্রন্দনে –
মিথ্যে লগ্ন গেছে ভেঙে- বার বার-
শুধু মনে হয়!
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন