আমাকে ছেড়ে তুমি
কিভাবে চলে যেতে পারলে?
আমার জন্যে কি তোমার
একটুও কষ্ট হয়নি?
একবারের জন্যেও কি
তোমার বুক কেঁপে উঠলো না!
একবারের জন্যেও কি
পেছন ফিরে তাকাতে ইচ্ছে করলো না?
একবারও কি মনে হয়নি
এতো দিনের মুখটা আরেকবার দেখি?
একবার মাথায় হাত বুলিয়ে যাই!
কি অবলীলায় তুমি
মুখ না ফিরিয়ে চলে গেলে
এই আমি এখন কিভাবে
তুমিহীন বাকিটা জীবন কাটাবো?
এখন আমার কেমন করে
দিন কাটবে, রাত কাটবে?
কে আমাকে সকাল বেলা ডেকে তুলবে?
কার জন্যে ঘুম ঘুম চোখে চা বানাবো!
কার জন্যে ভেজা চুল খুলে দাঁড়াবো নিথর!
কার জন্যে আয়নার সামনে গিয়ে
ঘন্টার পর ঘন্টা সাজবো!
এই ব্যস্ত শহরে কে আমার হাত ধরে
রাস্তা পার করে দেবে?
কে আমাকে আগলে রাখবে
নোংরা মানুষ গুলোর দৃষ্টি থেকে?
ঘন্টায় রিক্সা ঠিক করে কে আমাকে
পুরো ধানমন্ডির বৃষ্টি মাথায় করে
ভেজা জামায় পৌঁছে দেবে গন্তব্যে?
কে আমাকে মুখে তুলে খাইয়ে দেবে?
এখন আমি কার কাছে স্নান শেষে
চিৎকার করে তোয়ালে চাইবো?
কে আমার পিঠে সাবান মেখে দেবে?
আমার বায়না গুলো, মর্জি গুলো
অবোধ বালকের মতো কে মেটাবে?
রাত দুপুরে কে আনতে যাবে
সালামের ফুসকা, নয়নের তেহারী?
বেলীর মালা খুঁজে আনতে কে
চষে বেড়াবে সমস্ত ঢাকা শহর?
কে আমার খোঁপার ফুল
খুব সযত্নে ঠিক করে দেবে?
কে আমার শাড়ির কুচি ধরতে গিয়ে
আলতো করে ঘাড়ে কিংবা পায়ে চুমু খাবে?
তুমিই বলো এখন আমি
আমার শরীরের সমস্ত গন্ধ
কার শরীরে লেপ্টে দেবো যত্রতত্র?
তুমি কীভাবে পারলে
একটি শ্যামল ছায়ার
সমস্ত কদলী বৃক্ষ লোপাট করে
যুদ্ধ বিমান ওড়াতে?
এখন পর্যন্ত লেখাটি পড়া হয়েছে ১৭২ বার
যদি লেখাটি সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন