সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই ঘোষণা দেয়া হলো – এবার দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হবে নৌভ্রমণে।নির্ধারিত দিনের জন্য একটি জাহাজ ভাড়া করা হলো। জাহাজের নাম : এম ভি কাউয়ার চর।
দিলুর সংগে রহিমার কথা ফাইনাল হবার পর সবকিছু গোছাতে অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়েছে।এটা এতোটাই সিক্রেট অপারেশন যে দিলু আর দিলুর একান্ত বিশ্বস্ত কয়েকজন ছাড়া আর কেউ কিছুই জানে না।যারা দিলুর বিশ্বস্ত তারা রাজনীতির কেউ নয়।তারা হলো দিলুর নিজস্ব গ্যাং।এদের প্রত্যেকেই মার্ডারে সিদ্ধহস্ত।মার্ডার করে পান্তা ভাত খেয়ে দিব্যি নাক ডেকে ঘুম যেতে পারে।মার্ডার এদের কাছে হাতের ময়লা।তবে এদের ঈমান সাচ্চা ।কথা দিয়ে কথা রাখে।বিশ্বাস ভঙ্গ করা এদের সংবিধান বহির্ভূত। মূল অপারেশন এরাই চালাবে।লিড দিবে দিলু।
অবশেষে প্রতীক্ষার পর এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ৪০টি মটর বাইক দুইটি হাইস আর একটি পাজেরো এসে পৌঁছেছে জাহাজ-ঘাটায়।জাহাজ ঘাটে ভিড়তে আরো কিছুটা সময় লাগবে।জাহাজ আসার আগে যে যার মতো সময় কাটাচ্ছে।রহিমা বেগম বেশ নার্ভাস।কিন্তু সে তার নার্ভাসনেস আপ্রাণ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছে।দিলু একটু দূরে দূরে আছে।দিলুর সেই গ্যাং আছে আরেকটু দূরে।ওরা জাহাজে উঠবে সবার শেষে।দিলু উঠবে প্রথম দিকেই।
ঘাট থেকে ১০০ গজ দূরের একটি টঙ দোকান।দোকানের পেছনে বিস্তৃত বালুর মাঠ।টঙ থেকে চা আর সিগ্রেট নিয়ে গ্যাং চলে এসেছে বালুর মাঠে। আশেপাশে কোনো মানুষজন নেই।দূরে কিছু শ্রমিক কাজ করছে।শ্রমিকদের পেছনে কলকারখানা।তারও পেছনে লোক বসতি তারও পেছনে পুনরায় নদী।নদীর পর গ্রাম গ্রামের পর আবারও গ্রাম।
গ্যাংটির লিডারের নাম ঠাললু লাল। ঠাললু গালি ছাড়া কথা বলতে পারে না।কথার আগেই গালি দিয়ে নিতে হয় নইলে সে কথা বলতে পারে না। –
অই খা*ন*কি*র পোলারা মা*দা*র*চো*দের বাচ্চারা কুরিয়ান মা*দা*র*চো*দ আইজকা কিন্তু খাড়া কো*পা*ইতে অইবো।
আজ বস্তুত কোপা*কুপির কোনো মিশন নেই।ঠাললুর রীতি বা প্রথা হলো- সে যা বলবে বাস্তব কিংবা অবাস্তব অন্যদেরকেও সেটাই সাপোর্ট করে সেই মোতাবেক কথা বলতে হবে। তাই সরখেল বললো- অর মায় রে বাপ খা*ন*কি*র পোলাগো কাচা খায়া ফালাইতে অইবো।
গোদা তিল্লি সরখেলকে সাপোর্ট দিয়ে বললো-
খা*নকি*র পোলগো ভিত্তে ভইরা দিমু অর মায় রে বাপ।
কোপা শামসু বললো- মা*দা*র*চো*দ তোর চো*দ্দ গু*ষ্ঠি খগেন করে দেবো শা*লা মা*দা*র*চো*দ।
ওরা জানে এসব গালাগালির কোনো অর্থ নেই তবু ঠাললুর নির্দেশ পালন না করে উপায় নাই।এভাবে অশ্লীল গালাগালি করে কথা বলবার যে স্টাইল এর অবশ্য একটা নামও আছে – তরিকা-এ- ঠাললু বাবা।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন