তুমি কি সভ্যজাতির গর্ভে জন্ম নেওয়া এক অসভ্য ফুল?
রংধনু শরীরে, সুবাসে বিষ; বিষাক্ত?
মাটি চেনে না, তবুও শিকড় দাবায় মাটি ফাঁড়ি করে—
সাজিয়ে রাখে সভ্যতা, কাঁচে আবদ্ধ এক মৃতপ্রায় সুগন্ধ।
তুমি কি সেই ফুল, যাকে সভ্যসমাজ চেনে শুধু উৎসবে?
বিনিময়ে হিংসা, লোভ আর ছদ্মভক্তির সাজ—
অভিনয়ের কান্না জোগায় সজ্জিত বেদনায়।
তুমি কি প্রেম বোঝো?
নাকি শুধুই শরীরী ভাষা, পরিণতির ভঙ্গিমা?
তোমার কাণ্ডে কান পাতলে শোনা যায়—
জন্মের সময় কাঁদনি নয়, এসেছিল
এক বিস্মৃত হাহাকারের ব্যঞ্জনা।
সভ্যজাতি—আয়নায় নিজেকে দেখে,
আর তুমি, সেই আয়নার ফাঁকে উঁকি দেওয়া নিষিদ্ধ প্রতিচ্ছবি—
যার চোখে ভালোবাসা নেই, কিন্তু অস্বীকারও নেই!
তুমি এক অসভ্যফুল—
সভ্যতার কাঁধে ঝুলে থাকা পচা গন্ধরাজ,
বইয়ের পাতায় তোমার নাম নেই,
তবুও প্রতিটি নোটবুকে আঁকা
তোমার চোখ, তোমার ঠোঁট, তোমার লজ্জাহীন ফুল হয়ে ওঠা।
০
০
সেভ বা রিয়েক্ট করার জন্য লগইন করে নিন!
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন