আমার স্বাধীনতা তুমি পুরো নিয়ে নাও
শুধু একটু খানি আমাকে ধার দাও, কিছুটা সময়ের জন্য!
আমি একটু স্পর্শ করবো, আমার খুব ইচ্ছে হয় একটু ছুঁয়ে দেখি
ওটা নাকি আমার ছিল, আমি নাকি মালিক?
কবে তা, কেউ কি বলতে পারো?
স্বাধীনতা আজ পরিপক্ক, পরাধীনতায় বন্দী হয়ে!
তবে কি তা কখনো বেঁচে ছিল আপন নিশ্বাসে?
সবুজের অরণ্যে দোল খেয়েছিল?
খোলা নীল আকাশ চোখ মেলে দেখেছিল?
শিশির থেকে গোধুলী বিকেল হেঁটে বেড়িয়েছিল কি নদীর পাড়ে?
স্বাধীনতাও আজ স্বাধীনতা চায়!!
মাঝে মাঝে স্বাধীনতা আমাকে নিয়ে হাসে
তিরস্কার করে, আড়চোখে তাকায়, অভিশাপ দেয়
আমার নাকি কোন অধিকার নেই, ধিক্কার দেয় আমার কপালে।
স্বাধীনতার শিশুকালে হারিয়েছি পিতা,
অন্ধকারের শুরু, কলঙ্কিত বাংলা-রক্তাক্ত পতাকা,
তবুও আমার দাবী, আমি চাই স্বাধীনতা!!
খুনিও স্বাধীনতা চায়, স্বাধীনতার গলায় পা দিয়ে!
এখনো যে-অপেক্ষায় স্বাধীনতা পিষ্ট করার জন্য
সেও বলে স্বাধীনতা তার!
সুন্দর মুখে মিথ্যের বাসা, অসত্যের হুঙ্কার!
এই মাটি আজ খুব উর্বর, লাখো শহীদের রক্ত, গলিত দেহ
আজও উর্বর করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত, মৃত্যু অপমৃত্যু, লাশের মিছিল।
তবে এই মাটি কি অভিশপ্ত মাটি?
এই মাটি কেন এত রক্তের নেশায় ক্ষুদার্থ?
তাজা রক্ত ছাড়া, এই মাটির উর্বরতা কি হবে না?
এখানে ইঁদুর বিড়ালে বন্ধুত্ব হয়
চোরের খোঁজে, চোরের চোখেই দূরবীন।
পালিয়েছে গোঁফওয়ালা সাহেব’রা, সেই কবে
কিন্তু আপন আইলে গর্তের সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ।
তবুও আমি কেমন করে বলি স্বাধীনতার কথা!
কারণ আমি অকৃতজ্ঞ, নির্লজ্জ বেহায়া।

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন