ভালোবাসা
আবুল হাসান | কাব্য - পৃথক পালঙ্ক
আবার এসেছি আমি। বসে আছি তোমার উঠোনে :
প্রোথিত শিকড় নিম্নে : উর্ধে তরু, পাতার প্রতীকে
ধুকে ধুকে আমি আজো অবকাশ, বসন্তবাতাস, ঋতু, সবুজ ঝালর
জানিনা কিসের কান্না : শিকড়ে ও সঘন বাকলে
তবু চলে স্ববিরোধ,-যদি চাই ব্রণমাটি, অন্তরীণ আঘাতে লবণ
তখোন আমাকে দেয় অনাবৃষ্টি ক্ষণত, বৈশাখের বিলোল দহন।
ভিতরে দ্বিধার ক্ষেত্র ও বাইরে তাই একা একা যতদূর পারি
নিজেকে নিবিষ্ট করি, শব্দে শূন্যে স্বভাবে ও অভাবে একক
তোমাতে স্থির হই–কিন্তু নীচে ভিন্নদেশ আমাতে চঞ্চল।
চেপে যাই! তবু এদিক অস্থিরতা, অন্তরালে এ কী ঝড় বয়!
ভাঙ্গে, খণ্ড খণ্ড করে যেনো সব নিয়ন্ত্রিত গোপন বিন্যাস
আমাতে লুকিয়ে ছিল : আজ তারা অকস্মাৎ এদিকে ওদিকে
খুলে পড়ে, পাখি, বীজ, অমরতা, লৌহবোধ, শক্তির বিকাশ!
আর আমি পড়ে থাকি একা একা দ্রবীভূত আত্মার কানন,
আমাকে দেখেনা কেউ ও না পুষ্প, না ফলশ্রুতি–অদৃশ্য হওয়ার
স্বেচ্ছাচার ধীরে ধীরে গিলে খায়-নিয়তিও আমাকে অস্থির
বধির বিনাশে রেখে ধাবমান, দ্যাখো ঐ, ঐ ধাবমান!
প্রোথিত শিকড় নিম্নে : উর্ধে তরু, পাতার প্রতীকে
ধুকে ধুকে আমি আজো অবকাশ, বসন্তবাতাস, ঋতু, সবুজ ঝালর
জানিনা কিসের কান্না : শিকড়ে ও সঘন বাকলে
তবু চলে স্ববিরোধ,-যদি চাই ব্রণমাটি, অন্তরীণ আঘাতে লবণ
তখোন আমাকে দেয় অনাবৃষ্টি ক্ষণত, বৈশাখের বিলোল দহন।
ভিতরে দ্বিধার ক্ষেত্র ও বাইরে তাই একা একা যতদূর পারি
নিজেকে নিবিষ্ট করি, শব্দে শূন্যে স্বভাবে ও অভাবে একক
তোমাতে স্থির হই–কিন্তু নীচে ভিন্নদেশ আমাতে চঞ্চল।
চেপে যাই! তবু এদিক অস্থিরতা, অন্তরালে এ কী ঝড় বয়!
ভাঙ্গে, খণ্ড খণ্ড করে যেনো সব নিয়ন্ত্রিত গোপন বিন্যাস
আমাতে লুকিয়ে ছিল : আজ তারা অকস্মাৎ এদিকে ওদিকে
খুলে পড়ে, পাখি, বীজ, অমরতা, লৌহবোধ, শক্তির বিকাশ!
আর আমি পড়ে থাকি একা একা দ্রবীভূত আত্মার কানন,
আমাকে দেখেনা কেউ ও না পুষ্প, না ফলশ্রুতি–অদৃশ্য হওয়ার
স্বেচ্ছাচার ধীরে ধীরে গিলে খায়-নিয়তিও আমাকে অস্থির
বধির বিনাশে রেখে ধাবমান, দ্যাখো ঐ, ঐ ধাবমান!
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৭৫ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন