স্বাতীর সঙ্গে এক সকাল

আবুল হাসান আবুল হাসান

বারান্দায় স্বাতী কমলা খেলো, তার
শাড়ীর উপরে সমন্বয়ে সকালে বসলো রোদ,
রোদের পারদ লেগে স্বাতীর সমস্তটা মুখ যেনো আয়না, গভীর আয়না!
সদ্য বেড়ে ওঠা, প্রতিকৃতি আমার নিজের তাতে দেখলুম,
বোকা বোকা একটি লোক,
কমলালেবু হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছে বারান্দায় স্বাতীর সম্মুখে।

আশ্রমের শান্তির মতোন সুখে চেয়ে আছে তার
তৃষ্ণার আনত করতলে বাহাদুর কমলালেবুটি!

যেনো বোলছে, এরকম ঐতিহাসিক দিন,
খুঁটিনাটি ইচ্ছার সম্ভোগ দিয়ে শুরু হোক
স্বাতীকে দেখার কাজ, নীল দেখা রক্তের ভিতরে গিয়ে
হৃৎপিণ্ডে আজ কেউ জরিপ করুক সব বেঁচে থাকা
সম্ভোগের, শিল্পের এলাকা!
শিল্প হলো স্বাতীর হাতের ঐ কমলালেবু,
লজ্জায় আনত মুখ, রোদের ফড়িং
শিল্প হলো স্বাতীর কানের রিং,
চুল থেকে টেনে আনা সুগন্ধের সমস্ত বাতাস,
শিল্প হলো আঙ্গিনায়, উঠোনে স্বাতীর জলে
জীবনের সিক্ত তাজা ঘাস!

শিল্প তো নিরাশ্রয় করেনা, কাউকে দুঃখ দেয়না
কোনো হীন সিদ্ধান্তের মতো
যৌবনের মাংসে তারা রাখেনা কখনোই কোনো
অভাবের কালো ব্যধি, দূরারোগ্য ক্ষত!

শিল্প তো স্বাতীর বুকে মানবিক হৃৎপিণ্ড, তাই
আমি তার হৃৎপিণ্ডে বয়ে যাই চিরকাল রক্তে আমি
শান্তি আর শিল্পের মানুষ!
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৮৩ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন