একটি প্রবীণ বটের কাছে প্রার্থনা – ২
আহমদ ছফা
গ্রামের সীমান্ত প্রান্তে আঁকাবাঁকা স্রোতে
কালোজল ক্লান্তিভরা নিথর চরণে
চুপি চুপি অতিধীরে হাঁটে যেইখানে
রোগা রোগা দিনগুলো ঝাঁ ঝাঁ রোদে নীরবে ঝিমায়।
যেইখানে সময়ের ধেনু
বছরে বছরে শীর্ণকান্তি বছর বিয়ায়
হস্তীর বিষ্ঠার মতো স্তূপাকার শতেক বছর
নিদ্রা যায় অচেতন মাটির ওপর ।
যেইখানে ইতিহাস করুণ গোঙায়
কুয়াশার মতো এসে
চুপিসারে ঘুমন্ত অতীত,
গোলগাল থালার মতো
আকাশ গৃথিবী মেশা এক চিলতে দিগুলয়ে
যুগান্তের বার্তাবহ
প্রবীণ মনীষীবৃক্ষ রূদ্ধ পিতামহ
জানি না কেমন করে
ধরে আছো এতো প্রাণ উদ্ভিদ শরীরে
ভীষণ ঝন্ঝায় যুঝে
বিশাল আকাশে মুখ গুঁজে
পাতালে প্রবেশপথ খুঁজে
নীলিমার খড়খড়িতে প্রাণের ফোয়ারা
কি করে জাগিয়ে রাখো
ছলকে ছলকে বহে সবুজের ধারা।
পদতলে প্রসারিত প্রশান্ত ছায়ায়
অতীত মহিমা এসে দু'দণ্ড জিরায়।
ফড়িঙের মতো চরে হরিৎ জীবন
ধাবমান ক্রান্তিহীন প্রাণের বাহিনী
দলে দলে সবুজের সেনা
আকাশের চরে দেয় হানা।
ভালেমূলে পত্রপুঞ্জে পল্পব মুকুলে
প্রাণের কেতন রাশি ওড়ে দুলে দুলে;
অতক্কিতে আগামীরে খুন করে যায়।
অবিরাম ভাঙাগড়া চলেছে যে নাটে
কেবল দুঃখের পণ্য বিকোয় যে হাটে
যেখানে কচিৎ ঘটে প্রাণ উন্মীলন
টলটল শিশির যেনো ঝরস্ত জীবন
যেখানে হাওয়ায় ভাসে ভাঙনের গান
পত্র পতনের শব্দে ধ্বংসের বাঁশরী বাজে
মুখবোজা ছায়া ঠেলে মৃত্যু দেয় শীষ
মহামারী নিত্য করে নাম সংকীর্তন,
নৃপতির মহিমায় মস্তকে মুকুট
ধারণ করেছো তুমি
অঙ্গে অঙ্গে অস্ত্রলেখা
পিতামহ বনস্পতি সাক্ষী শতাব্দীর ।
কালোজল ক্লান্তিভরা নিথর চরণে
চুপি চুপি অতিধীরে হাঁটে যেইখানে
রোগা রোগা দিনগুলো ঝাঁ ঝাঁ রোদে নীরবে ঝিমায়।
যেইখানে সময়ের ধেনু
বছরে বছরে শীর্ণকান্তি বছর বিয়ায়
হস্তীর বিষ্ঠার মতো স্তূপাকার শতেক বছর
নিদ্রা যায় অচেতন মাটির ওপর ।
যেইখানে ইতিহাস করুণ গোঙায়
কুয়াশার মতো এসে
চুপিসারে ঘুমন্ত অতীত,
গোলগাল থালার মতো
আকাশ গৃথিবী মেশা এক চিলতে দিগুলয়ে
যুগান্তের বার্তাবহ
প্রবীণ মনীষীবৃক্ষ রূদ্ধ পিতামহ
জানি না কেমন করে
ধরে আছো এতো প্রাণ উদ্ভিদ শরীরে
ভীষণ ঝন্ঝায় যুঝে
বিশাল আকাশে মুখ গুঁজে
পাতালে প্রবেশপথ খুঁজে
নীলিমার খড়খড়িতে প্রাণের ফোয়ারা
কি করে জাগিয়ে রাখো
ছলকে ছলকে বহে সবুজের ধারা।
পদতলে প্রসারিত প্রশান্ত ছায়ায়
অতীত মহিমা এসে দু'দণ্ড জিরায়।
ফড়িঙের মতো চরে হরিৎ জীবন
ধাবমান ক্রান্তিহীন প্রাণের বাহিনী
দলে দলে সবুজের সেনা
আকাশের চরে দেয় হানা।
ভালেমূলে পত্রপুঞ্জে পল্পব মুকুলে
প্রাণের কেতন রাশি ওড়ে দুলে দুলে;
অতক্কিতে আগামীরে খুন করে যায়।
অবিরাম ভাঙাগড়া চলেছে যে নাটে
কেবল দুঃখের পণ্য বিকোয় যে হাটে
যেখানে কচিৎ ঘটে প্রাণ উন্মীলন
টলটল শিশির যেনো ঝরস্ত জীবন
যেখানে হাওয়ায় ভাসে ভাঙনের গান
পত্র পতনের শব্দে ধ্বংসের বাঁশরী বাজে
মুখবোজা ছায়া ঠেলে মৃত্যু দেয় শীষ
মহামারী নিত্য করে নাম সংকীর্তন,
নৃপতির মহিমায় মস্তকে মুকুট
ধারণ করেছো তুমি
অঙ্গে অঙ্গে অস্ত্রলেখা
পিতামহ বনস্পতি সাক্ষী শতাব্দীর ।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১৯৬ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন