মুর্শিদাবাদ ধাম যেন পুণ্যের আধার।
সেথায় হইল জন্ম, জ্ঞানের সাকার॥
পোড়াডাঙ্গা গ্রামখানি—যেন মুক্তার ঝিনুক।
সেথায় জন্মিল যিনি, না ধরেন দুঃখ॥
১৯৯২ সালে, সেপ্টেম্বর বাইশ।
ধরণী মাতিল সুখে, ধন্য হলো দিশ্॥
পিতা লক্ষ্মণ, মাতা মমতা—স্নেহের দু’টি ধারা।
পুত্ররূপে অজয় এলেন, যেমন চাঁদের পারা॥
বাল্যেতে জ্ঞান আহরণ, আলোকের পথ।
বিদ্যালয়ের গণ্ডি শেষে, স্থির হলো মত॥
রসায়ন শাস্ত্র যেন অজয়ের প্রেমিকা।
স্নাতকে মেধা তাঁর—জ্যোতির্ময় শিখা॥
শিক্ষকতা কর্ম যেন সেবারই মন্ত্রণা।
পরে রসায়নবিদ রূপে, কর্মের সাধনা॥
সংসার রথ তাঁর, তবু মন রহে দূরে।
বৈষ্ণব ভক্তিপথে, সদা ঘুরে ঘুরে॥
তাঁর লেখনী যেন তুলসীর মঞ্জরী।
গৌরাঙ্গের প্রেমকথা, প্রাণে যায় ভরি॥
পদাবলী রচেছেন—যেন অমৃতের ঢেউ।
প্রণবনন্দন ভণিতা—সে তো তাঁরই কেউ॥
তিনি ভাগবত-পাঠক, বাণীতে ঝঙ্কার।
প্রচারে মগন প্রাণ, নাহি আর পার॥
ধর্মের পথে তিনি যেন স্থির পর্বত।
সাহিত্য সাধনা তাঁর, চির প্রবাহিত স্রোত॥
নজরুল আর বাংলা আকাদেমি সন্মান।
তাঁর সৃষ্টি যেন সোনায় মোড়া গান॥
কবির জীবন যেন একখানি আরতি।
যাতে ভক্তি, জ্ঞান আর ভালোবাসার দ্যুতি॥

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন