আমরা দুর্বল হতে পারি। নিরীহ নিরস্ত্র হতে পারি। কিন্তু ভয় করিনা। এই বাঙালি ভয় করে না। এরা বীরের জাতি। বীরত্বের রক্ত মিশে আছে তাদের শরীরে। ডর ভয় এসব্দোগগুলি তাদের মাঝে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তারা বীর বাহাদুর। তারা সূর্য ও প্রদীপের দীপ্ত তেজে যুদ্ধ করতে পারে। যদিও তারা তিন বেলা দুমুঠো খাবার খেতে পায় না। কিন্তু তারা রক্ত দিতে জীবন দিতে কখনোই কৃপণতা করে না। তারা দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য রক্ত দিতে সদা সর্বদায় প্রস্তুত। যদিও তাদের মধ্যে উন্নতি ও শিক্ষার ব্যাপক অভাব রয়েছে। কিন্তু তাদের মাঝে সম্প্রীতি ভালোবাসা কোমলতা দরদ ও স্নেহ এবং বিশ্ব জগতের সমুদয় সৌন্দর্য এবং স্নিগ্ধতার বিন্দুমাত্রও অভাব নেই। তাদের আছে সবুজ শ্যামল প্রকৃতি। আছে পলি মাটির কোমল দেশ। আছে তাদের বুক ভরা সাহস শক্তি ও বীরত্ব। যেই বীরত্বের প্রমাণ তারা পূর্বে বহুবার দিয়েছে। বাংলার ইতিহাসের পাতা খুললে দেখা যায়, তাদের বীরত্ব গাথা অধ্যায় গুলি।
স্বর্ণাক্ষরে লেখা তাদের ইতিহাস কত গৌরবের কত না বীরত্বের। এই বিরুদ্ধে ইতিহাস গুলো পড়লে, শরীরের রক্ত গরম হয়ে উঠে। বিশ্বজয়ের নেশা চলে আসে।
বিশ্বটাকে জয় করার জন্য, যতটুকু সাহস ও বীরত্বের প্রয়োজন তা, অবশ্যই বাঙালিদের বুকে আছে। পূর্বের ইতিহাস গুলো পড়লে বিষয়টা একেবারে স্পষ্ট হয়ে যাবে। ১৯৫২ সালে বাংলার দামাল ছেলেরা মাতৃভাষার জন্য, পাকিস্তানের ক্ষমতালোভী স্বৈরাচারীদের বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছিল। বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে বাংলা কে মাতৃভাষা হিসেবে কিনে নিয়েছিল।
পৃথিবীর বুকে বাঙালিরাই প্রথম, মাতৃভাষার জন্যে জীবন দিয়েছিল, রক্ত দিয়েছিল। আর তাদের সাহস ও বীরত্ব বাঙ্গালীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে, শক্তি যুগিয়ে ছিল ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার জন্যে। সেই সাহস ও বীরত্ব এখনোও মিশে আছে প্রতিটি বাঙালির বুকে। বাঙালিরা কাউকে ভয় করে না। তারা বুক চিতিয়ে শত্রুর যেকোন থাবার সামনে, মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস রাখে। বুকের তাজা রক্ত দিতে জানে, জীবন দিতে জানে, যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে জানে। বাঙালিরা ভীরু কাপুরুষ নয়। বাঙালিরা বীরের জাতি। আর বীরত্ব ও বিজয় তাদেরই প্রতিশব্দ।
“জয় বাংলা, জয় বাঙালি”
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন