কানা মামুদের উড়ালকাব্য

আল মাহমুদ আল মাহমুদ

উড়াল শিখেছি আমি বহুকাল । শীতার্ত গোলার্ধ ছেড়ে
বরফের কুচি ঝেড়ে এশিয়ার মানচিত্রে গরম
মৌসুমী বায়ুর বেগে ভেসে গেছি, ফুরোয়নি দম
বঙ্গোপসাগরে এসে ঘূর্ণিঝড়, কালবোশেখী মাঝেমধ্যে
আমাকেও নিয়ে গেছে কেড়ে ।

পরাজয় মানিনিকো। কানা এই মামুদের আত্মার উড়াল,
পৃথিবীর মেঘবৃষ্টি, রক্তবৃষ্টি, বোমাবর্ষণের আঁচে
ভেবেছি মানুষ তবে মানুষের রক্ত খেয়ে বাঁচে ?
ভয় হয়, ভূমধ্যসাগর কবে আদমের রক্তে
হবে লাল ?

মানুষের প্রতিবাদ, দীর্ঘশ্বাস অতলান্তিক পার হবে কবে
বুঝিনি, সন্দেহ ছিল। তবু অকস্মাৎ ভেঙে কি পড়েনি বলো
আলিশান পুঁজির প্রতীক ?
মানুষের হাহাকার পরাভব মানবে না, এগোবে সে
চূড়ান্ত আহবে।
এগোবে সে আফগানিস্তানে, ফিলিস্তিনে, কাশ্মীরে
ঘড়ির কাটার মত ঠিক।

প্রগতির প্রবক্তারা পালিয়েছে। যেমন গীধর
মরণের ইশারায় গ্রাম ছেড়ে শহরে পালায় ;
এখনও সাম্যের বুলি, কথাবার্তা নাক বরাবর ।
নিজের নাসিকা কেটে খাবি খায় নিজেরই লালায়।
পালায় পালায় লাল শেয়ালেরা গুটিয়ে বিতিণ্ডাবাদী
লেজের জলুস
না আছে রে হুক্কাহুয়া, না বোঝে সে ক্যায়সে হুয়া ?
না আছে পথের কোনো হুঁশ।

২.

কানা মামুদ, কানা মামুদ
কোথায় পেলে ওড়ার বারুদ ?
আত্মা তোমার হাউই হয়ে
শূন্যে ওড়ে দিগ্বিজয়ে।
যাচ্ছে মেঘের পুচ্ছ ঘেঁষে
অবলীলায় চাঁদের দেশে ।
এমন ওড়ার শেষ কি আছে
নিজের গ্রহেই ভোঁদড় নাচে ।

গ্রহান্তরে কী পাবে আর
নিজের ঘরেই ইফেল টাওয়ার ।

হায়রে কানা মামুদ কানা
নিজকে নিয়েই পদ্য বানা ।
তুইতো বোকা, আদম জাতি
আরন্ত যার আত্মঘাতি ।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১১৮ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন