একটি কাঠবেড়ালি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ল্যাজ নাড়িয়ে খাবার খুঁজছিল, দুর্ভাগ্যবশত এক শিকারির ফাঁদে আটকে গেল। অনেক লাফিয়ে-ঝাঁপিয়ে, খাঁচায় দাঁত খিঁচিয়ে বেরোতে পারল না। যখন শিকারি ফাঁদ থেকে তাকে খাঁচায় ভরতে গেল, কাঠবেড়ালি তার হাতে মরণকামড় বসিয়ে দিল; শিকারি ছাড়াতে গেলেই সে লাফিয়ে পালিয়ে বাঁচল।

এক বেড়াল মাছ চুরি করতে গিয়ে এমনি ফাঁদে পড়েছিল। যখন তাকে মারার জন্য বন্ধ ঘরে মালিক ঢোকে, বেড়াল অমনি লাফিয়ে পড়ে তার গলা কামড়ে ধরে। অতি ক্ষিপ্র নৃশংস আক্রমণে হতবাক হয়ে সে পড়ে যায়, বেড়াল সুযোগ বুঝে এক লাফে দরজা দিয়ে বেরিয়ে যায়।

একটা পিঁপড়াকে পায়ের তলায় দাবিয়ে মারতে যায় খুকু, কিন্তু পিঁপড়ে তার পায়ের নরম ত্বকে হুল সেঁধিয়ে দেয়। খুকুমণি ‘বাবাগো মাগো’ করে কেঁদে ওঠে জোরে, একটা বিশাল বড় লাঠি নিয়ে দৌড়ে আসে তার বাবা; কিন্তু এর মাঝেই ছোট্ট পিঁপড়ে তার গর্তে ঢুকে পড়ে।

মাথায় বরফ রাখার পর একটা মাছ জ্যান্ত ভাজা হয়েছিল, মস্তিষ্ক নিষ্ক্রিয় হয়েছিল তাই গরম তেলে ভাজলেও সে লাফায়নি। কিন্তু যখন তাকে প্লেটে করে দেওয়া হলো খেতে, সেই ভাজা মাছটা সম্বিৎ ফিরে পেয়ে কামড়ে নিল খাদকের আঙুল।

একটা মানুষ একটা ছোটখাটো কাজ করে শান্তিতে জীবনযাপন করছিল, কিন্তু তার পারিপার্শ্বিকেরা তাকে এমন সামাজিক মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে লাগল যে সে দিশেহারা হয়ে গেল। সেই চাপটা তার কাছে এতই কঠিন লাগল যে সে ভুলে গেল সে একটা মানস-জীব, সে ধীরে ধীরে বোবা হয়ে গেল, কারো সাথে কথা বলতে পারত না আর। এতেও সবাই রেগে গেল—কারণ সে কেন কথা বলে না? সবাই মিলে তার ঘরে ঢুকে তাকে মারতে লাগল, তখন একজন দেখল, তার ঘরে পাতার পর পাতা শুধু কবিতা।

পরে পড়বো
৫১

প্রকাশিত মন্তব্য গুলো

  1. Ai kobita ta Khub sundor hoiche exactly amar sathe o same ai rokom ta hoiche diner por din . apnar kobita gulo Khub sundor hoiche .

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন